You have reached your daily news limit

Please log in to continue


জনগণের সঙ্গে প্রতারণার রাজনীতি আর নয়

২০২৪-এর ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়ে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা ভারতে চলে যান। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, হাসিনাকে প্রত্যক্ষভাবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির নানা অপচেষ্টায় সহায়তা করার ব্যাপারে ভারতের সরকার ও মিডিয়ার সরাসরি সায় রয়েছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, শেখ হাসিনা উৎখাত হয়ে প্রাণভয়ে পালিয়ে গিয়ে শুধু নিজেকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে চিরতরে মুছে ফেলেননি বরং তিনি বঙ্গবন্ধুকেও এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে সাময়িকভাবে হলেও নির্বাসিত করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছেন। আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতা-কর্মীকেও তিনি ফ্যাসিবাদের দোসর বানিয়ে বেলাগাম দুর্নীতি, পুঁজি লুণ্ঠন ও পুঁজি পাচারের ঘৃণিত প্রতীকে পরিণত করে পতনের ও বিপর্যয়ের গহ্বরে নিক্ষেপ করেছেন। এই গিরিখাত থেকে আওয়ামী লীগ আদৌ মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসতে পারবে কী? আগামী এক দশকের মধ্যে আওয়ামী লীগ এ দেশের রাজনীতিতে আবার অন্যতম প্রধান দলে পরিণত হওয়ার ভালো সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন না ওয়াকিবহাল মহল। কাউকে কাউকে অধুনালুপ্ত মুসলিম লীগের মতো আওয়ামী লীগেরও চিরতরে অপাঙ্‌ক্তেয় হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করতে শোনা যাচ্ছে। আমি অবশ্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার সংগ্রামে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ঐতিহাসিক নেতৃত্বদানের বিবেচনায় ইতিহাস থেকে এই দুটো সংগঠনের চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার তত্ত্বকে সমর্থন করি না। কিন্তু আমি দৃঢ়ভাবে বলছি, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে পুনর্গঠিত করার যেকোনো উদ্যোগ নিতে হবে পতিত স্বৈরশাসক হাসিনা, তাঁর পরিবার ও আত্মীয়স্বজন, তাঁর পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, আমলা ও পুঁজি লুটেরা অলিগার্ক ব্যবসায়ীদের দল থেকে সম্পূর্ণভাবে ছুড়ে ফেলার মাধ্যমে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, পতনের বিপর্যয়কর গহ্বর থেকে মুক্ত হয়ে এবং অসহনীয় মানসিক ও আর্থিক আঘাত কাটিয়ে উঠে আওয়ামী লীগের অতি ক্ষুদ্র অংশই পারবে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা ও সাহস সঞ্চয় করতে।

অনেকগুলো প্রতারণামূলক কায়দা-কানুন অনুসরণ করে হাসিনা সরকার এ দেশের জনগণের উচ্চ মাথাপিছু জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার দেখানোর ব্যবস্থা করত, যা অর্থনীতির প্রকৃত গতিশীলতা ও সুস্বাস্থ্যের প্রতিফলন ছিল না। তাত্ত্বিকভাবে জিডিপি হলো: (ভোগ ব্যয়+বিনিয়োগ ব্যয়+সরকারি ব্যয়+রপ্তানি আয়‍+আমদানি ব্যয়)। বিনিয়োগ ব্যয় দেশের সঞ্চিত পুঁজি থেকে হয়েছে, নাকি বৈদেশিক ঋণের অর্থে হয়েছে, সেটা এ ক্ষেত্রে বিবেচ্য নয়, উভয় ক্ষেত্রেই জিডিপি বাড়ার ক্ষেত্রে কোনো তারতম্য হয় না। তেমনিভাবে সরকারি ব্যয় সরকারি রাজস্বের অর্থায়নে হয়েছে, নাকি দেশীয় অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বৈদেশিক ঋণের অর্থায়নে হয়েছে, সেটাও জিডিপিতে সরকারি ব্যয়ের অবদান নির্ধারণে তারতম্য সৃষ্টি করে না। হাসিনার সরকার সাড়ে ১৫ বছর ধরে যেনতেনভাবে অজস্র অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ করে বিনিয়োগ ব্যয় ও সরকারি ব্যয় বাড়ানোর নীতি বাস্তবায়ন করায় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার প্রতিবছর উচ্চস্তরে দেখানো যাচ্ছিল, যা মোটেও টেকসই প্রবৃদ্ধি ছিল না। বৈদেশিক ঋণ নেওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে প্রাইভেট সেক্টরের বিনিয়োগ ব্যয় এক দশক ধরে প্রতিবছর জিডিপির অনুপাত হিসাবে ২৩-২৪ শতাংশে ঘুরপাক খাচ্ছে। সরকারি খাতে অজস্র ঋণ করে ঘি খাওয়ার মতো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের অর্থ ব্যয় করায় জিডিপি বেড়ে গেছে। সরকারি রাজস্ব আহরণ এ দেশে কমতে কমতে জিডিপির শতাংশ হিসেবে ৮ শতাংশে নেমে যাওয়া সত্ত্বেও বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ ঋণের অর্থে প্রতিবছর সরকারি ব্যয় বাড়ানোয় জিডিপি দ্রুত বেড়ে গেছে। ঋণ বাড়িয়ে সরকারি ব্যয় বাড়ালে তা জিডিপিকে বাড়িয়ে দেয়, সরকারি ঋণ বাড়লে জিডিপি কমে না।

গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে হাসিনা ১৮ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার বিশাল ঋণের সাগরে দেশের জনগণকে নিমজ্জিত করে প্রতিবছর মাথাপিছু জিডিপির উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখিয়ে চলেছিলেন, যা ছিল ‘নিকৃষ্টতম শুভংকরের ফাঁকি’ ও জনগণের সঙ্গে ভয়ানক প্রতারণা।

২০২৪ সালে প্রত্যেক বাংলাদেশির ঋণের বোঝা ১ লাখ টাকার বেশি। হাসিনার শাসনামলে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার অজুহাতে একের পর এক মেগা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি সারা দেশে বাস্তবায়িত হয়েছে শত শত উন্নয়ন প্রকল্প। প্রতিটি মেগা প্রকল্পে প্রকৃত ব্যয়ের তিন-চার গুণ বেশি দেখানোর মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে লাখ লাখ কোটি টাকা, যে জন্য এসব প্রকল্পের ব্যয় ‘বিশ্বের সর্বোচ্চ’ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল যখন পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন, তখন থেকেই বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে ‘ডেটা ডক্টরিং’-এর কেন্দ্র বানিয়ে ফেলেছিলেন। তাঁর নির্দেশে ওই সময় থেকে ডেটা ডক্টরিংয়ের সহায়তায় মোট জিডিপিকে বাড়িয়ে দেখানো এবং মোট জনসংখ্যাকে কমিয়ে দেখানো পরিসংখ্যান ব্যুরোর খাসলতে পরিণত হয়েছিল। পরিকল্পনামন্ত্রীর নির্দেশে ২০১৪ সাল থেকে এহেন বানোয়াট (ম্যানুফেকচারড) তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে প্রতিবছর বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি বাড়িয়ে দেখিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো। এক দশক ধরে উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে কাহিনি প্রচার করে হাসিনার সরকার দেশ-বিদেশে প্রশংসা কুড়িয়েছিল, তার সিংহভাগই ছিল ভুয়া ও ভিত্তিহীন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন