You have reached your daily news limit

Please log in to continue


এআইয়ের যুগে গণিত বিসিএস থেকে বাদ নয়

গণিত হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের ভিত্তি। গণিতের জ্ঞান এআই সিস্টেমগুলোকে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, শিখতে এবং অভিযোজন করতে সাহায্য করে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে রূপান্তরকারী প্রযুক্তির মধ্যে একটি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে, যা স্বাস্থ্যসেবা, অর্থ, পরিবহন ও বিনোদনের মতো বৈচিত্র্যময় ক্ষেত্রগুলোতে ব্যাপক বিপ্লব এনেছে। এআই গণনামূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের জ্ঞানীয় প্রক্রিয়াগুলো; যেমন—শেখা, লেখা, যুক্তি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রতিলিপি বা বৃদ্ধি করা যায়।

তবে এই কাজের জটিলতার জন্য একটি কঠোর ও কাঠামোগত পদ্ধতির প্রয়োজন, যা গণিত প্রদান করে। আর আমাদের দেশে বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস পরিবর্তন করে ছয়টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে পরীক্ষার নম্বর পুনর্বণ্টন করে গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা বিষয় সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। এটি কতটুকু যৌক্তিক?

গণিত কিভাবে এআইকে সাহায্য করে? রৈখিক বীজগণিত ডেটা উপস্থাপন ও পরিচালনা করতে সাহায্য করে, যা চিত্র স্বীকৃতি, প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ এবং সুপারিশ ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্যালকুলাস মডেলগুলোকে অপ্টিমাইজ করতে সাহায্য করে, যা মেশিন লার্নিংয়ের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ।

পরিসংখ্যান সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও অনিশ্চয়তা ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে, যা কম্পিউটার দৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রয়োজন। পরিসংখ্যান গণিতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গেম তত্ত্ব এআই মডেলগুলোকে আরো স্বচ্ছ ও ব্যাখ্যাযোগ্য করে তুলতে সাহায্য করে। তথ্য ও গ্রাফ তত্ত্ব মানুষের ভাষার জটিলতর বিষয়গুলোকে মডেল করতে ব্যবহার করা হয়।

তারা অপ্টিমাইজেশন তত্ত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা এআই মডেলগুলোকে প্রশিক্ষণ ও পরিমার্জনের ভিত্তি। তারা সাপোর্ট ভেক্টর মেশিন আবিষ্কার করেছে, যা এআই অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে শ্রেণিবিন্যাস ও রিগ্রেশন কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের সাফল্য গাণিতিক নীতির ওপর নিহিত। এই নীতিগুলো এআই অ্যালগরিদমের ভিত্তি তৈরি করে, যা মেশিনগুলোকে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, বিশ্লেষণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গণিতের বিভিন্ন শাখা এআই সিস্টেমের বিকাশ ও বাস্তবায়নে অবদান রাখে, যার মধ্যে রৈখিক বীজগণিত, ক্যালকুলাস, সম্ভাব্যতা, পরিসংখ্যান ও অপ্টিমাইজেশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

এই বিভাগগুলো এআইতে তাদের ভূমিকা তুলে ধরে।

বর্তমানে বিসিএসের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়, যার মধ্যে লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস অনুসারে সাধারণ ক্যাডার, কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতায় ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন ছয়টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে নম্বর পুনর্বণ্টনের সুপারিশ করে। কমিশনের প্রতিবেদন অনুসারে বাংলা, ইংরেজি রচনা, ইংরেজি কম্পোজিশন ও প্রিসিস, বাংলাদেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, আন্তর্জাতিক ও চলতি বিষয়, সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজ ও পরিবেশ, ভূগোল প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বর করার সুপারিশ করেছে। কিন্তু গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতায় যে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হতো, তা এখন না রাখার সুপারিশ করছে কমিশন, যা আসলে ঠিক হয়নি বলে মনে হচ্ছে। আজকে বিশ্বজুড়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা কিন্তু গণিত, পরিসংখ্যান ও কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের অবদান। তাই ভবিষ্যতে যারা নেতৃত্বে এগিয়ে যেতে চাই, তাদের অবশ্যই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ যদি উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চায়, তাহলে আমাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। প্রয়োজনে সরকারকে এর জন্য আলাদা প্রজেক্ট গ্রহণের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে, যারা এ বিষয়ে কাজ করতে চায়। তাই কমিশনের সুপারিশে গণিত বাদ দেওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই গ্রহণ করা যাবে না। বিসিএসসহ যেকোনো ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় গণিত অবশ্যই রাখতে হবে। গণিতের গুরুত্ব অনুধাবন করে শিক্ষাব্যবস্থা এবং নিয়োগসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, যা দেশের বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে ভূমিকা রাখবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন