
শেষ ইচ্ছা মেনে সন্জীদা খাতুনের দেহ দান
বাঙালি সংস্কৃতির বাতিঘর হয়ে জীবনভর তিনি ছড়িয়ে গেছেন আলো, ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন তার দেহখানিও দান করে গেছেন অঙ্গ প্রতিস্থাপন আর গবেষণার জন্য।
শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ বৃহস্পতিবার ঢাকার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (পিজি) দান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন সন্জীদা খাতুনের ছেলে পার্থ তানভীর নভেদ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এটা সন্জীদা খাতুনের ২৭ বছর আগের সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবারের সবাই মরদেহ হস্তান্তরের ব্যাপারে সম্মত হই। আজকে দান করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।”
বাঙালির সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে কিংবদন্তিতুল্য, গবেষকের চোখে বিস্ময় জাগানিয়া ব্যক্তিত্ব ছিলেন সন্জীদা খাতুন, যার জীবন কেটেছে গানে গানে বাঙালির আত্ম পরিচয়ের সুলুক সন্ধানে।
ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় জীবনের এই বিপুল যাত্রা সাঙ্গ করেন তিনি।
সেদিন রাতে সন্জীদা খাতুনের মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়, বুধবার দুপুরে তার কফিন নেওয়া হয় ছায়ানট ভবনে। সেখানে গানে গানে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান ছায়ানটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
- ট্যাগ:
- বিনোদন
- মরণোত্তর দেহদান
- সনজীদা খাতুন