
হঠকারিতা সর্বনাশ ডেকে আনবে
বড় সঙ্গিন সময়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহর ওভার বাউন্ডারি নয়, ওভার স্টেডিয়াম হওয়ার অবস্থা। চব্বিশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হাসনাত নামেই যথেষ্ট পরিচয়ের তারকা সমন্বয়ক তিনি। মাঝে মাঝে স্ট্যান্ট বা ক্রেজ তৈরিতে সফলতার দৌড়ে এ ম্যাজিশিয়ান একটা বাজে সময়ে ছক্কা হাঁকাতে গেলেন। তা করতে গিয়ে গোটা সেনাবাহিনীকে নিয়ে বোমা ফাটিয়ে বসলেন। অবশ্য বোমাটা ফেটেও ফাটেনি। দ্রুত সময়ের মধ্যে একদিনের ব্যবধানে কথা সংশোধন করে হাসনাত শনিবার বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের কোনো অবস্থা নেই। বরং পূর্ণ আস্থা ও শ্রদ্ধা রয়েছে।
গুজবের বাজার গরম করে, কনটেন্ট ব্যাপারীদের ব্যবসা জমিয়ে পরিস্থিতিতে কাউর বাঁধিয়ে এখন কেন এ বোধ? হাসনাতের বোধটা জেগেছে একটু দেরিতে, পানি আচ্ছা মতো ঘোলা করে। অথচ মাত্র ক’দিন আগে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উ-জামান অত্যন্ত লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ারে বলেছেন, কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি বন্ধ করতে। নইলে সামনে বিপদ আছে। ঘটনা, সময় এবং পারিপার্শ্বিকতা বিবেচনায় গুরুত্ব পেয়েছে তার রাওয়া ক্লাবে দেওয়া সেই বক্তব্য, যা আজকের সময়ের সঙ্গেও প্রাসঙ্গিক।
- ট্যাগ:
- মতামত
- আন্দোলন
- সেনাবাহিনী