খাদ্য আমদানি : সঠিক সময়ে আমদানি করে সরবরাহ শৃঙ্খল নির্বিঘ্ন রাখতে হবে

বণিক বার্তা সম্পাদকীয় প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৯

প্রতিনিয়ত চালের দাম বাড়ছে। আমদানি ও উৎপাদনও কম। সরকারি মজুদও তুলনামূলক কম। এ অবস্থায় মানুষ ভবিষ্যতের কথা ভেবে রীতিমতো শঙ্কিত। চাল দেশের মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য আর দ্বিতীয় গম। চাল ও গমের দাম সর্বস্তরের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকা উচিত। বাস্তবতা হলো চালের সরকারি মজুদ যদি পর্যাপ্ত না থাকে তাহলে চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।


আবার একই সঙ্গে অসাধু ব্যবসায়ী ও অবৈধ মজুদদারদের অতিমুনাফার লোভ বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পরিস্থিতি আরো অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে অন্তত ৬৮ লাখ টন গম আমদানির প্রয়োজন পড়বে বলে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। এছাড়া পরপর দুটি বন্যায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দেশে চাল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ লাখ টন। সে হিসেবে রক্ষণশীলভাবে হিসাব করলেও চলতি অর্থবছরে মোট চাল ও গম আমদানির প্রয়োজন পড়ে ৮০ লাখ টনের বেশি। ১৭ মার্চ পর্যন্ত দেশে খাদ্যশস্য দুটি আমদানির পরিমাণ ছিল ৪৮ লাখ টনের বেশি। এ অনুযায়ী বাকি তিন মাসে আমদানি করতে হবে ৩২ লাখ টন। ইউএসডিএর পরিসংখ্যানকে আমলে নিয়ে অত্যন্ত রক্ষণশীলভাবে হিসাব করতে গেলেও অর্থবছরের বাকি সময়ে প্রতি মাসে গড়ে ১০ লাখ টনের বেশি খাদ্যশস্য আমদানি করতে হবে। বন্যায় উৎপাদন হ্রাসের প্রেক্ষাপটে বাজার স্থিতিশীল রাখা এবং খোলাবাজারে চাল বিক্রিসহ সরকারের খাদ্যভিত্তিক সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিগুলো নির্বিঘ্ন রাখতে এ পরিমাণ আমদানির বিকল্প নেই। বাজারে এ দুটি পণ্যের দাম সর্বস্তরের মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে রাখতে সঠিক সময়ে আমদানি করে সরবরাহ শৃঙ্খল নির্বিঘ্ন রাখা উচিত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও