
আট মাসে রাজস্ব আদায় পিছিয়ে ৫৮ হাজার কোটি টাকা
জুলাই-অগাস্টের তুমুল আন্দোলন, সহিংসতা ও ক্ষমতার পালাবদলের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য যে ধাক্কা খেয়েছিল সেই জের টানতে গিয়ে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যে রাশ টেনেও আহরণের ক্ষেত্রে সুবিধা করতে পারছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
অর্থনীতিতে গতি ফেরানোর নানা পদক্ষেপের পরও চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারিতে রাজস্ব ঘাটতি ছাড়িয়ে গেছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার নিরিখে এতটা পিছিয়ে থাকলেও আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে পৌনে ২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এনবিআরের হালনাগাদ পরিসংখ্যানের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার ৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৮১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা; অর্থাৎ এ সময়ে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৫৮ হাজার ২৪২ কোটি টাকা।
পুরো অর্থবছরের জন্য এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের মাঝপথে এসে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি করা হয়।
গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয়েছিল দুই লাখ ১৭ হাজার ৯৭১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় তিন হাজার ৮৪৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা বেশি আদায় হয়েছে; যা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি।
রাজস্বের এ ঘাটতি কাটাতে সরকার সম্প্রতি শতাধিক পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বাড়িয়েছে। পরে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের বাধা ও দাবির মুখে বহু পণ্যেই সেখান থেকে ফিরে আসার তথ্যও দিয়েছে এনবিআর।