মোদির ইতিহাসে একমাত্র ভিলেন মুসলমান

যুগান্তর অনিকেত চট্টোপাধ্যায় প্রকাশিত: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:০১

খেয়াল করেছেন কি, আপনার হোয়াটসঅ্যাপে, ফেসবুকে, সমাজমাধ্যমে, মেইন স্ট্রিম মিডিয়াতে, বড় বাজেটের ফিল্মে আপনাকে লাগাতার বোঝানোর চেষ্টা চলছে যে, আপনার পূর্বপুরুষরা হাজার হাজার বছর ধরে মুসলমানদের অধীনে ছিল। তাদের দাসত্বে জীবন কেটেছিল। খেয়াল করুন, এই দাসত্বের কাহিনিতে ব্রিটিশরা নেই, ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে একটা কথাও নেই। এর প্রথম লক্ষ্য হলো হিন্দুদের এক দীর্ঘমেয়াদি মুসলিম নিপীড়নের শিকারি হিসাবে তুলে ধরা। সেই ছকবাজির প্রথম ধাপটি হলো সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের একটা ছবি তুলে ধরা। যেখানে হিন্দু পরম সহিষ্ণু আর মুসলমান হিন্দু রাজপুত রমণীর ইজ্জত নেওয়ার জন্যই হাজির। হোয়াটসঅ্যপে হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্বকে শক্তিশালী করে এমন বর্ণনা ছড়ানো হচ্ছে, সেটা শুধু আজ নয়, বেশ কিছু বছর ধরে। আর তা করা হচ্ছে লাগাতার এবং এক গ্র্যান্ড প্ল্যান ও বিশাল পরিকল্পনামাফিক। উদাহরণ দিচ্ছি, ছত্রপতি শিবাজি আফজাল খানকে হত্যা করেছিল একটা ছবি। যাতে আসলে হাইলাইট করা হয়েছে একজন প্রজাবৎসল হিন্দু রাজা কীভাবে মুসলমান আক্রমণকারীকে হত্যা করলেন। তার বহু তথ্য হোয়াটসঅ্যাপে পেয়ে যাবেন।


কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপে এ তথ্য উল্লেখ করাই হবে না যে, আফজাল খানের একজন হিন্দু উপদেষ্টা ছিলেন, যিনি আফজাল খানকে বারবার এ গুপ্ত আক্রমণ নিয়ে সাবধান করেছিলেন। এবং এটাও বলা হবে না যে, শিবাজির একজন মুসলমান দেহরক্ষী ছিলেন, যার পরামর্শ তিনি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেই সেদিনকার গুপ্ত আক্রমণের কথা জেনে ওই বাঘ-নখ নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। ওই দেহরক্ষী সেটা তাকে বলে দিয়েছিলেন। একইভাবে আকবর এবং মহারানা প্রতাপের মধ্যে ঐতিহাসিক কাহিনি হোয়াটসঅ্যাপে এক সরল হিন্দু রাজা বনাম অত্যাচারী মুসলমান নবাবের দ্বন্দ্ব হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে জোট ও পরিচয়ের জটিলতাগুলো সম্পর্কে বলাই হয়নি। দুপক্ষেই যে মুসলমান এবং দুপক্ষেই যে হিন্দু ছিলেন, সেসব তথ্য বেমালুম মুছে দিয়ে কেবল হিন্দু আর মুসলমান গল্পের কথাই বলা হয়ে গেছে। সেখানে দেখানো হয়েছে হিন্দু মানেই প্রজাবৎসল এবং মুসলমান মানেই হচ্ছে আক্রমণকারী। এর সঙ্গেই পরিষ্কার জানানো হচ্ছে যে, বিজেপি হলো হিন্দুদের দল এবং উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার। দ্বিতীয় লক্ষ্য হলো ঘৃণা ও বিভাজন ছড়িয়ে দেওয়া। হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে একটা বিভাজন তৈরি করা। হিন্দুদের বিশ্বাস করানোর একটা প্রাণপণ চেষ্টা করা হচ্ছে যে, তারা মুসলমানদের কারণে বিপদে রয়েছেন এবং একমাত্র বিজেপিই হিন্দুদের দল, যারা এ বিপদ থেকে তাদের বাঁচাতে পারবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও