
নাগরিক সুরক্ষার অধিকার চাই
রাষ্ট্রের কাছে নাগরিকদের সবচেয়ে যে বড় পাওনা সেটা হলো, নাগরিক সুরক্ষার অধিকার। রাষ্ট্র নাগরিকদের সুরক্ষা দেবে সঠিক আইন প্রণয়ন করে ও যথাযথভাবে তা প্রয়োগ করে। সমানভাবে নাগরিকদেরও কর্তব্য আছে—রাষ্ট্র কর্তৃক প্রণীত আইনকে যথাযথভাবে মেনে চলা। রাষ্ট্র কর্তৃক প্রণীত আইন যদি মেনে চলে তাহলে সেই নাগরিকদের সুনাগরিক বলা হয়। এই সমাজে আমরা সবাই সুনাগরিক হতে চাই। আমি আমার নাগরিক অধিকার যেমনভাবে সুরক্ষিত চাই, আমার আচার-আচরণ ও কর্মের মধ্য দিয়ে অন্যের নাগরিক অধিকারকে যেন ক্ষুণ্ন না করি, সেটাও সুনাগরিকের কর্তব্য।
আমার হস্ত সম্প্রসারণের অধিকার আছে, কিন্তু সেই হস্ত যেন অন্যের শরীরে কোনো রকম আঘাত না করে, আমাকে সে ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে। সুনাগরিকের আরও যে কর্তব্য আছে সেটা হলো, রাষ্ট্র কর্তৃক বর্ণিত আইন জানা। এই আইন জেনে নিতে হবে নিজ দায়িত্বে। রাষ্ট্র যে ধরনের কাজ করতে নিষেধ করেছে জনগণকে অথবা যে কাজ করা দণ্ডনীয় অপরাধ, সেগুলো অবশ্যই সুনাগরিকেরা জানতে বাধ্য।