-67d9c694b40ac.jpg)
সরকারি ও বহুজাতিক কোম্পানি তালিকাভুক্তি চায় ডিবিএ
শেয়ারবাজারে সরকারি মালিকানাধীন ও বহুজাতিক কোম্পানি তালিকাভুক্তি চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ)। এ ব্যাপারে ডিবিএ’র পক্ষ থেকে মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়। এতে বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানায় ডিবিএ।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ বছর ধরে দেশের পুঁজিবাজারে চরম অনিয়ম, অপশাসন ও অস্থিরতা চলছে। এসব অনিয়মের ফলে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান প্রায় অকার্যকর। কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যর্থতায় রূপ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকৃত রিটার্ন এবং মূলধন কমেছে। এরফলে আলোচ্য সময়ে প্রকৃত অর্থে বাজার প্রায় ৪০ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অতীতে বিভিন্ন প্রতিকূল ঘটনা এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বিশেষ করে ১৯৯৬ এবং ২০১০ সালে কারসাজির কারণে বাজারের আর্থিক সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। এতে বিনিয়োগকারীসহ সামগ্রিকভাবে বাজারের স্থায়ী ক্ষতি হয়েছে। এ সময়ে অসংখ্য কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানো হয়েছে কৃত্রিমভাবে। এতে বিনিয়োগকারীদের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও ২০২০ সালে করোনা এবং পরে প্রায় ২০ মাস শেয়ারের দামের ওপর ফ্লোর প্রাইস দিয়ে আটকে রাখা হয়। এতে বাজারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক তহবিল ব্যবস্থাপকরাও বাংলাদেশ থেকে দূরে সরে গিয়েছে। অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে স্থানীয় বিনিয়োগকারীদের।
ডিবিএ’র চিঠিতে বলা হয়, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অনিয়ম হলো, তালিকাভুক্ত হয়েছে মানহীন আইপিও (প্রাথমিক শেয়ার)। এর মাধ্যমে বাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়েছে। এতে বাজারে তৈরি হয় স্থায়ী তারল্য সংকট। চিঠিতে আরও বলা হয়, নিয়ন্ত্রকসংস্থা, পরিচালনাকারী সংস্থা, তালিকাভুক্ত কোম্পানি, বাজার মধ্যস্থতাকারী এবং আর্থিক নিরীক্ষক, রেটিং এজেন্সিসহ অন্যান্য অংশীজনের মাঝে সুশাসনের অভাব। ডিবিএ’র চিঠিতে বলা হয়, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ঘাটতির কারণে বাজারে আস্থার সংকট মারাত্মক রূপ নিয়েছে।