নারী, বন্দী ‘কারাগারে’...মুক্তি কোথায়
নারীর মুক্তি দরকার—কথাটা বললে এটা স্বীকার করে নেওয়া হয় যে ‘নারী বন্দী’। এরপর প্রশ্ন আসে, নারী বন্দী কার কাছে? নারী কি শুধুই পুরুষের কাছে বন্দী, নাকি সে নিজের কাছেও বন্দী? নারী নিজের কাছে কীভাবে বন্দী, তা আলোচনার আগে দেখা যাক, নারী পুরুষের কাছে কীভাবে বন্দী, অর্থাৎ নারীর বন্দিত্বের রূপ কী কী।
নারী যে কারাগারে বন্দী, তার নাম ‘পুরুষের শ্রেষ্ঠত্বের ভাবনা’। পুরুষের ধারণা, নারীর কর্মক্ষমতা বা শক্তি, এমনকি মেধাও তাঁর চেয়ে কম। নারীর কর্মক্ষমতা বা শক্তি ও মেধা পুরুষের চেয়ে কম—এমন ধারণা পোষণের ক্ষেত্রে পুরুষ দুই দলে বিভক্ত। একদল মনে করে, ঈশ্বরই নারীকে কম শক্তি ও মেধা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। নিরীশ্বরবাদী পুরুষদেরও অনেকে নারীকে পুরুষের চেয়ে কম শক্তি ও মেধার অধিকারী মনে করেন। তাঁরা মনে করেন, নারী জন্মগতভাবে এমন শারীরিক গঠনপ্রাপ্ত যে তা অপেক্ষাকৃত দুর্বল; নারীকে মাসে একবার ঋতুমতী হতে হয়, যখন তাঁর মন-মেজাজ, শরীর সব কাজের জন্য উপযুক্ত নয়, বিশেষ করে ঋতুকালে নারী যুদ্ধে যাওয়ার জন্য যোগ্য নন ইত্যাদি।