
লেখাটি নতুন দিনের তরুণদের জন্য
আমার এই লেখা যেদিন ছাপা হবে, সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। ১৯৭১ সালের ১৭ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে বসেছিলেন বঙ্গবন্ধু। মার্চ মাসের সেই দিনগুলিতে লিখিত হচ্ছিল এই ভূখণ্ডের আলোড়ন জাগানো ইতিহাস। চলছিল অসহযোগ আন্দোলন। নতুন দিনের তরুণদের জন্য সেই দিনটির কথাই এখানে বলব।
তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই ইতিহাস নির্মিত হয়। যারা সেই ইতিহাসকে গুবলেট করে নিজস্ব বয়ান তৈরির চেষ্টা করে, তারা আবেগের বশে বুঝতেও চায় না, ইতিহাসই কেবল ইতিহাস হয়। চাপিয়ে দেওয়া বয়ান দিয়ে মিথ্যাকে ভিত্তি দেওয়া যায় না।
যে তরুণ আগামী দিনের ইতিহাস লিখবে, তাকেই অনুরোধ করব আমার লেখার বিষয়বস্তু নিয়ে ভাবতে। এই বর্ণনায় যদি সত্যিকার আবহ ফুটে ওঠে, তাহলে তারা যেন সেই সময়কে অনুভব করার চেষ্টা করে। যারা সদম্ভে সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে নতুন মিথ্যা বয়ান তৈরি করে, সময় তাদের মিথ্যাচার প্রকাশ করে দেয়। এর প্রমাণ রয়েছে ভূরি ভূরি। এমনকি গোয়েবলসের মিথ্যাকে সত্য বানানোর যে তত্ত্বের ওপর নির্ভর করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে মিথ্যাচার প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা হয়, তারও মুখোশ একসময় খুলে পড়ে। যেমন খসে পড়েছিল খোদ গোয়েবলসের গুরু হিটলারের বিকৃত মুখোশ!