
শিক্ষার্থী ২২৭, শিক্ষক-কর্মচারী ১৩০
বাগেরহাটের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজে আসনসংখ্যা ১২০। তবে চলতি শিক্ষাবর্ষে কলেজটিতে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ১৬ শিক্ষার্থী। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণকালীন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নেই।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু বাগেরহাটের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ নয়, এটিসহ সারা দেশে থাকা ছয়টি শারীরিক শিক্ষা কলেজেরই প্রায় একই চিত্র। পাঁচটি কলেজে অধ্যক্ষ নেই। দীর্ঘদিনেও পদ ও চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় কলেজগুলোর শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে ক্ষোভ ও হতাশা। এগুলোর প্রভাবে স্থবিরতা বিরাজ করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনিক ও শ্রেণি কার্যক্রমে। শিক্ষক-কর্মচারী থাকলেও স্নাতক কোর্স চালু না হওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে হাতে গোনা। চলতি শিক্ষাবর্ষে ১ হাজার ১২০ আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছেন ২২৭ জন।
সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজগুলো হলো ঢাকার মোহাম্মদপুরের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, রাজশাহীর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, ময়মনসিংহের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, বাগেরহাটের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ, চট্টগ্রামের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ এবং বরিশালের সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ। এসব কলেজ পরিচালিত হয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন ক্রীড়া পরিদপ্তরের মাধ্যমে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে গত বুধবার ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক মো. মোস্তফা জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আশা করছি, চলতি বছর শিক্ষার্থী ভর্তি বৃদ্ধি পাবে। স্নাতক কোর্স চালু ও শিক্ষকদের পদ ও চাকরি স্থায়ী করার বিষয়ে কাজ চলছে।’
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- কলেজ শিক্ষার্থী