
হঠাৎ ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে কেন? কী করছে পুলিশ?
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এখনো মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটি। তার জীবন সংকটাপন্ন। বুধবার (১২ মার্চ) একদিনে চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে শিশুটি।
গত ৫ মার্চ রাতের এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে গোটা দেশের মানুষ। জড়িতদের শাস্তির দাবিতে রাজপথে চলছে আন্দোলন-সমাবেশ। চার আসামিকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এরপরও থেমে নেই ধর্ষণ।
গত ৮ মার্চ রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন অন্তঃসত্ত্বা এক নারী। পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে ওই নারী কয়েক দিন আগে ঢাকায় আসেন। তিনি কাজ খুঁজছিলেন। ঢাকায় এসে একটি মাজারে আশ্রয় নিয়েছিলেন। রাতে কেরানীগঞ্জে গেলে তিন অটোরিকশাচালক ওই নারীকে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে একটি ঘরে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন।
একই রাতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নগ্ন ভিডিও ধারণ এবং পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করেন মেয়েটির সৎবাবা। রাতেই ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয় লোকজন। পরে তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- যৌন নির্যাতন
- শিশু ধর্ষণ