
বাজার অংশীজনদের দিয়ে তদন্ত কমিটি করা বিএসইসির ভুল ছিল কি
দেশের পুঁজিবাজারে বিগত সরকারের আমলে সংঘটিত নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও কারসাজির ঘটনা খতিয়ে দেখতে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিটির প্রধান করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের টেরা রিসোর্সেস ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কনসালট্যান্ট এবং ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. জিয়া উদ্দিন আহমেদকে। একটি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে ড. জিয়া উদ্দিন আহমেদ কমিটির সদস্য হওয়ার আগেই পুঁজিবাজারের অন্যতম অংশীজন হিসেবে বিবেচিত। একই কথা প্রযোজ্য আরেক সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এইমস বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াওয়ার সাঈদের ক্ষেত্রেও। তাকেও এ কমিটির একজন সদস্য করা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের অংশীজন হিসেবে পরিচিত দুটি প্রতিষ্ঠানের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে কমিটির প্রধান ও সদস্য করায় শুরুতেই স্বার্থগত দ্বন্দ্বের (কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট) বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের অবকাশ তৈরি হয়। সম্প্রতি বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকেও এ তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনগুলোকে ‘বিতর্কিত’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে, যার জেরে বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করা, হট্টগোল, সেনা পাহারায় সংস্থাটির শীর্ষ কর্তাদের অফিস ত্যাগ ও অফিসে প্রবেশ এবং কর্মবিরতির মতো নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়।