
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বেতন কেন বাড়াল বিসিবি
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতে ভারতীয় দলের উচ্ছ্বাস ‘দর্শক’ হিসেবেই দেখল বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা। তারা দেখছে আফগানিস্তানের মতো দলের ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স। বিশ্বমঞ্চে নিয়মিত ব্যর্থ বাংলাদেশ দলকে নিয়ে আশাবাদী হওয়ার সুযোগ কম। বরং ক্রিকেট এগোচ্ছে না পেছাচ্ছে, এ রকম একটা প্রশ্ন প্রায়ই প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। এর মধ্যেই ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর আলোচিত মাহমুদউল্লাহ মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজের নাম না রাখতে অনুরোধ করেছেন।
গত চার বছর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে বিসিবি সংস্করণ ভেদে ক্রিকেটারদের তালিকা চূড়ান্ত করত। কিন্তু এবার কেন্দ্রীয় চুক্তির ধরনে পরিবর্তন এসেছে। ২২ ক্রিকেটারকে তারা রেখেছে চারটি শ্রেণিতে। সর্বোচ্চ ‘এ প্লাস’ শ্রেণিতে শুধু তাসকিনই আছেন, তাঁর বেতন মাসে ১০ লাখ টাকা। ‘এ’ শ্রেণিতে থাকা নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস আর মুশফিকুর রহিমের বেতন ৮ লাখ টাকা। মুশফিক যেহেতু ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন, শুধু টেস্ট খেলবেন এখন থেকে। এ কারণে মার্চ মাস থেকে তিনি নেমে যাবেন ‘বি’ শ্রেণিতে। এই ক্যাটাগরিতে থাকা একজন ক্রিকেটারের বেতন ৬ লাখ টাকা। মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলামদের মতো শুধু টেস্ট খেলা ক্রিকেটারদের বেতন হবে ৬ লাখ টাকা। কদিন আগে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছিলেন, বোর্ড সভায় তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, শুধু টেস্ট ক্রিকেটারদের আর্থিক সুরক্ষা বাড়াতে চান। এ কারণে মুমিনুলের বেতন এবার বেড়েছে দেড় লাখ টাকা। টেস্ট ফিও বেড়েছে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা। ফাহিম কাল আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘সব হিসাব-নিকাশ করেই করা হয়েছে। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটারদের বেতনটা বাড়ানোর চেষ্টা করেছি। শতাংশে না, সবার একভাবেই বাড়বে।’