দীর্ঘায়ুর কথা বললেই পুষ্টিকর খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত ঘুমের কথা প্রথমে মনে আসে। তবে এসবের পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল- নিয়মিত সূর্যালোক গ্রহণ।
তবে সূর্যের আলো কতটা উপকারী, আর কতটা ক্ষতিকর হতে পারে? এ বিষয়ে দীর্ঘায়ু বিশেষজ্ঞদের রয়েছে পরামর্শ ও মতামত।
সূর্যালোক ও দীর্ঘায়ুর মধ্যে সম্পর্ক
“সূর্যালোক দীর্ঘায়ুর জন্য অন্যতম উপাদান, যা আমরা প্রায়ই অবহেলা করি” ব্যাখ্যা করেন ‘নেইচুরোপ্যাথিক’ চিকিৎসক সাবরিনা সল্ট।
রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই মার্কিন চিকিৎসক আরও বলেন, “শরীর প্রকৃতিগতভাবেই সূর্যালোকের সাথে মানিয়ে চলার জন্য তৈরি হয়েছে। এটি হরমোন উৎপাদন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতকরণ এবং ‘সার্কাডিয়ান রিদম’ বা দেহঘড়ি নিয়ন্ত্রণসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ কাজে সহায়তা করে।”
যদিও অতিরিক্ত সূর্যালোক ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তবুও এটি নিয়ন্ত্রিত পরিমাণে গ্রহণ করা সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
কতটুকু সূর্যালোক যথেষ্ট?
লম্বা সময় ধরে বাইরে থাকার প্রবণতা আধুনিক জীবনে কমে গেছে। পাশাপাশি ওজোন স্তরের পরিবর্তনের কারণে অতিবেগুনি রশ্মির পরিমাণ বেড়ে গেছে, যা ত্বকে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই সূর্যের আলোর সুফল গ্রহণের পাশাপাশি এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কেও সতর্ক থাকা জরুরি।
ডা. সল্টের মতে, আদর্শ সূর্যালোক গ্রহণের পরিমাণ ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণভাবে প্রতিদিন ১০ থেকে ৩০ মিনিট সরাসরি সূর্যালোক গ্রহণ করা স্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে সকালে পাঁচে থেকে ১০ মিনিট চোখে (সানগ্লাস ছাড়া) সূর্যের আলো পড়লে দেহঘড়ির ছন্দ ও হরমোন উৎপাদন সঠিকভাবে পরিচালিত হয়।