
ইফতারে রোজ এক কাপ পরিমাণ তরমুজ খেলে দেহে যে ৫ পরিবর্তন আসবে
উষ্ণ আবহাওয়ায় স্বস্তিদায়ক ফল হিসেবে তরমুজ বেশ জনপ্রিয়। পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফল আপনি খেতে পারেন ইফতারেও। তরমুজের প্রায় ৭৫ শতাংশই পানি। তার মানে, এক কাপ পরিমাণ তরমুজ খেলে প্রায় পৌনে এক কাপ পানি গ্রহণ করা হয়। বুঝতেই পারছেন, ইফতারে তরমুজ খেলে তাতে তৃষ্ণা মিটবে, হবে রসনার তৃপ্তিও। এর সঙ্গে কিন্তু আরও কিছু ব্যাপার জড়িয়ে আছে।
শক্তিতে ভরপুর
ইফতারের পর ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে আসতে চায় অনেকেরই। তরমুজে কেবল পানি নয়, রয়েছে পটাশিয়াম আর ম্যাগনেশিয়ামও। অতিরিক্ত ক্লান্তির পেছনে অনেক ক্ষেত্রেই পানি ও ম্যাগনেশিয়ামের ঘাটতি দায়ী হয়ে থাকে। পেশির স্বাভাবিক কাজের জন্যও পটাশিয়াম প্রয়োজন। তাই ইফতারে মোটামুটি এক কাপ পরিমাণ তরমুজ খেলে আপনি ইফতারের পর খুব বেশি ক্লান্তি অনুভব করবেন না। রাতের বেলা অন্যান্য কাজও সারতে পারবেন সহজে।
ব্যায়ামে স্বস্তি
ব্যায়াম করতে গিয়ে যদি আপনি পানিশূন্য হয়ে পড়েন, তাহলে হুটহাট পেশিতে টান পড়তে পারে। রমজান মাসে রাতে ব্যায়াম করেন অনেকেই। ইফতারে এক কাপ তরমুজ খেলে তাঁরা উপকার পাবেন। পেশিতে টান লাগার মতো সমস্যার ঝুঁকি কমবে। তা ছাড়া তরমুজে থাকা সাইট্রুলিন নামের অন্য একটি উপাদানের কারণেও পেশিতে টান লাগার প্রবণতা কমে। তাই ইফতারে তরমুজ খেলে রাতে আপনি বেশ স্বস্তিতেই শরীর চর্চা করতে পারবেন। সাইট্রুলিন কিন্তু হৃৎপিণ্ডের জন্যও ভালো।
পেট ঠিকঠাক
ইফতারে প্রচলিত ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া হলে হজমে গণ্ডগোল হতেই পারে। তাই সহজে হজম হয়, এমন খাবার খেতে বলা হয়। তরমুজ হজম হয় সহজে, আর অন্যান্য খাবারের হজম প্রক্রিয়ায় সহায়তাও করে। এক কাপ তরমুজ খেলে আপনার পেটও খানিকটা ভরবে। তাই ভাজাপোড়া খাওয়ার পরিমাণ কমানোও সহজ হবে। তা ছাড়া তরমুজে পর্যাপ্ত পানির সঙ্গে খানিকটা আঁশও থাকে। তাই নিয়মিত তরমুজ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানোও সহজ হবে।
- ট্যাগ:
- স্বাস্থ্য
- তরমুজ
- স্বাস্থ্য উপকারিতা