শিক্ষাক্ষেত্রে নারীর সাফল্য এখন চোখে পড়ার মতো। এসএসসিতে টানা আট ও এইচএসসিতে টানা ১৫ বছর ফলাফলে ছেলেদের পিছনে ফেলছেন তারা। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও এগিয়ে। উচ্চশিক্ষায়ও রয়েছে তাদের চোখ ধাঁধানো সব সাফল্য। তবে সব ধরনের চাকরিক্ষেত্রে এখনো যোজন যোজন পিছিয়ে নারীরা।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিসিএসে প্রতি ১০০ ক্যাডারের ৭৫ জনই পুরুষ। কোটা থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় নারীর সংখ্যা অনেক কম। মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার মতো পেশায় পুরুষদের চেয়ে এখনো বেশ পিছিয়ে নারীরা। তবে চিকিৎসাক্ষেত্রে নারী পেশাজীবীরা এখন বেশ এগিয়ে।
শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের মতে—মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় মেয়েরা ভালো করছেন। কিন্তু ভালো ফলাফল নিয়ে স্নাতক-স্নাতকোত্তর শেষ করেও অনেকে চাকরির ক্ষেত্রে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন। সংসারজীবন, সামাজিক প্রেক্ষাপটসহ নানান কারণে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তারা ভালো করতে পারছেন না বলে অভিমত অনেকের। তারপরও কেন নারীরা চাকরির বাজার থেকে ছিটকে পড়ছেন, তার কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।