নারীর ওপর আক্রমণ বৃদ্ধি কি শুধুই ‘মব ভায়োলেন্স’

প্রথম আলো উম্মে ওয়ারা প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২৫, ১৬:০৭

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও অবমাননা বিষয়ে একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পরিচালনা করে। প্রতিবেদনটিতে পতিত সরকারের জুলাই অভ্যুত্থান দমনে কৃত অপরাধের তথ্যভিত্তিক পূর্ণ বিবরণ আছে। তাই তা বিশেষভাবে আলোচিতও হয়েছে।


তবে প্রতিবেদনের আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনার বাইরে রয়ে গেছে। এমন বিষয়ের মধ্যে আছে ক্রান্তিকালীন বিচারব্যবস্থার একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক মডেল প্রতিষ্ঠা করা এবং ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে নারীসহ অন্যান্য নির্দিষ্ট গ্রুপকে টার্গেট করে সংঘটিত অপরাধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।


২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসেই মোট ৮৫ জন কন্যা ও ১২০ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ তথ্য মহিলা পরিষদের নারী ও কন্যা নির্যাতনবিষয়ক মাসিক প্রতিবেদন (জানুয়ারি) অনুযায়ী। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৬৭ জন। তার মধ্যে ১৪ জন কন্যাসহ ২০ জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, ১ জন কন্যাসহ ২ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ২ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ফেব্রুয়ারি মাসে এই নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে বহুগুণে।



গত ফেব্রুয়ারি মাসে সারা দেশে ১৮৯টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে; যার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৪৮টি। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১১ জন। বিভিন্ন কারণে ১০ জন কন্যাসহ ৪৬ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। ১৫টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে তৈরি হওয়া এই প্রতিবেদনগুলোর চেয়ে প্রকৃত সংখ্যা যে আরও বেশি হবে তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।


ওএইচসিএইচআরের প্রতিবেদনে প্যারাগ্রাফ ২৩২-২৩৬–তে ৫ আগস্ট–পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুধর্মের নাগরিকদের ঘরবাড়ি, ব্যবসাস্থল ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে আক্রমণের উল্লেখ রয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ৫ থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে ৩৭টি সহিংস ঘটনার তথ্য বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) সরবরাহ করেছে। পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই সময়ে ১ হাজার ৭৬৯টি সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, যেগুলোর মধ্যে ১ হাজার ২৩৪টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ২০টি সাম্প্রদায়িক এবং ১৬১টি অভিযোগ অসত্য ছিল।


হিন্দুধর্মাবলম্বী ছাড়াও হামলা হয়েছে খ্রিষ্টান, আহমদিয়া সম্প্রদায় এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের ওপর। বাংলাদেশ খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, নওগাঁয় চার্চ অব বাংলাদেশ, দিনাজপুরে ইভ্যানজিলিক্যাল হলিনেস চার্চ, নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে দ্য খ্রিষ্টান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের কালেকশন বুথ এবং বরিশালের গৌরনদীতে তিনটি, খুলনা শহরে একটি, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে একটি ও পার্বতীপুরে একটি খ্রিষ্টানবাড়িতে হামলা হয়েছে। (প্রথম আলো, ১২ আগস্ট ২০২৪)

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও