
প্রচারমাধ্যমে শিশুদের বিনোদন কতখানি?
আশির দশকের শেষে হুমায়ূন আহমেদের রচনায় ‘বহুব্রীহি’ নাটকের একটি সংলাপ সবার মুখে মুখে ছিল। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই এই সংলাপ আওড়াতো। এখনও সবাই সেই সংলাপ বলে। গণজাগরণ মঞ্চের সময়ও এই সংলাপ ছিল আলোচনায়। এমন অনেক সংলাপ বা শ্লোগান আছে যা মানুষকে ভাবিয়েছে, নিগূঢ় অর্থ বুঝিয়েছে, এমনকি জনসচেতনতায়ও কাজ করেছে। অর্থাৎ ভিজ্যুয়াল মাধ্যম শুধু বিনোদনের কাজ করে না, শিক্ষারও একটি মাধ্যম।
প্রায়শই দেখা যায়, শিশুরা স্কুলে যাওয়ার আগেই আধো আধো বোলে বা দুরন্তপনার মাঝে বাংলাভাষা নয় সাবলীলভাবে ইংরেজি এমনকি জাপানিজ ভাষায় কথা বলছে। বিষয়টি হতবাক হওয়ার মতো। কিন্তু একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এর কারণ, শিশু স্মার্টফোন বা টিভিতে উল্লেখিত ভাষায় তার প্রিয় কার্টুনটি দেখে থাকে। যেখানে প্রাপ্তবয়স্করা হাজার হাজার টাকা, ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় করেও সঠিক উচ্চারণে বিদেশি ভাষা ঠিকভাবে শিখে উঠতে পারে না, সেখানে শিশুরা নিজ ভাষা থেকে বিদেশি ভাষায় খুবই সাবলীল!