You have reached your daily news limit

Please log in to continue


রাশিয়া ও চীনকে নিয়ে নতুন বিশ্বব্যবস্থা গড়বেন ট্রাম্প!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে চুক্তি হলে ইউক্রেন ও ইউরোপের ওপর তার যে বিশাল নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, সেটা নিয়ে জোরালো আলোচনা চলছে। কিন্তু ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে যদি চুক্তি হয়েই যায়, তাহলে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের সম্পর্ক কতটা ঝুঁকিতে পড়বে, তার থেকেও বড় একটা ঝুঁকি রয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন তিন বছর পার করেছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির চেয়ে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আরও সংশয় বেড়েছে। আবারও ঘটনাপ্রবাহ সেই ১৯৩৮ সালের মিউনিখের ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে দুঃখজনকভাবে মিলে যাচ্ছে।

পুতিনকে সন্তুষ্ট করা যাবে, এই ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে পরাশক্তিরা আবারও নিজেরা দুর্বল রাষ্ট্রের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিচ্ছে।

১৯৩৮ সালে একই রকম ঘটনা ঘটেছিল চেকোস্লোভাকিয়ার ক্ষেত্রে। জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন মিলে চেকোস্লোভাকিয়ার ভাগ্য নির্ধারণ করে দিয়েছিল। ইউক্রেন এখন যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার চাপে পড়েছে আর অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়েছে।

ট্রাম্প ও তাঁর লোকেরা রাশিয়ার কাছে ইউক্রেনের প্রায় ২০ ভাগ ভূমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। এই ভূমি রাশিয়া অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। এ ছাড়া ট্রাম্প দাবি করেছেন, অতীতে ইউক্রেনকে তারা যে সহায়তা দিয়েছে, তার ক্ষতিপূরণ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ৫০ শতাংশ খনিজ ও বিরল খনিজ সম্পদ তুলে দিতে হবে।

ইউক্রেনকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে আমেরিকা অস্বীকৃতি জানালে সেটা শুধু ইউক্রেনের জন্যই নয়, মিত্র ন্যাটো সেনাদের জন্যও (যাদেরকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অথবা শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে তাদের নিয়োজিত করার আলোচনা হয়েছে) মিউনিখ চুক্তির ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।

ফ্রান্স ও ব্রিটেন সে সময় শুধু তাদের মিত্র চেকোস্লোভাকিয়াকে জাতিগত জার্মান–অধ্যুষিত সুডেটেনল্যান্ডকে নাৎসি জার্মানির হাতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়নি, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি চেকোস্লোভাকিয়ার অংশবিশেষ দখলে নিলেও তারা কিছু বলেনি।

মিউনিখ চুক্তির মাত্র ছয় মাসের মাথায় যখন হিটলার চুক্তি লঙ্ঘন করে অবশিষ্ট চেকোস্লোভিয়াকে ভেঙে পুতুল স্লোভাক রাষ্ট্র গঠন করেন এবং চেকদের ভূমি দখল শুরু করেন। তখনো ফ্রান্স ও ব্রিটেন প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থ হয়েছিল।

পুতিন যে ইউক্রেনেই থামবেন না, তাঁর প্রতিটি ইঙ্গিত এখন দেখা যাচ্ছে। আর এটি মনে রাখা দরকার যে ব্রিটেনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নেভিল চেম্বারলিন তখন ভেবেছিলেন যে তিনি ‘আমাদের সময়ের শান্তি’ নিশ্চিত করে ফেলেছেন। অথচ ১১ মাসের মাথায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছিল।

ট্রাম্প ভাবছেন তিনি পুতিনকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করছেন না। চেম্বারলিন ও দালাদিয়ার ১৯৩৮ সালে এমন করেই হিটলার সম্পর্কে ভেবেছিলেন। আরও চিন্তার কারণ হচ্ছে ট্রাম্পের হাতে পুতিনের চেয়ে দুর্বল তাস রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন