সন্তানকে বড় করতে ‘পান্ডা পেরেন্টিং’ কি আদৌ কাজের? কেন এ নিয়ে এত চর্চা?

আনন্দবাজার (ভারত) প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৩

বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে তিতিরকে আরও বেশি আঁকড়ে ধরেছেন সন্দীপ্তা। সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া মেয়েকে সব সময়ে আগলে রাখতে চান। মায়ের ভালবাসা, অনুভূতি বুঝলেও হাঁসফাঁস অবস্থা তিতিরের। একলা ঘরে নিজের মতো সময় কাটাবে, সে সুযোগ নেই। খেতে, ঘুমোতে, উঠতে-বসতে মায়ের নজরদারি দিনে দিনে অসহ্য লাগছে তার।


অর্কের সমস্যাটা আবার অন্য। মা সরকারি উচ্চপদে কর্মরতা। বাবা ব্যস্ত ব্যবসার কাজে। একমাত্র সন্তানের অভাব রাখেননি তাঁরা। তবু অভাববোধ তীব্র বছর দশেকের স্কুলপড়ুয়ার জীবনে। বাবা-মায়ের সঙ্গ, সময়ের জন্য ছটফট করে সে।


তিতির, অর্কের উদাহরণ কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং শিশু-কিশোরদের জীবনে এগুলি এখন বাস্তব চিত্র। যে কোনও বাবা-মা চান, সন্তান বড় হোক, সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচুক। কিন্তু দৈনন্দিন কাজের চাপ, সন্তান পালন করতে গিয়ে বহু অভিভাবকই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। কখনও বুঝে উঠতে পারেন না, কতটা শাসন করবেন, আর কতটা ছাড় দেওয়া প্রয়োজন।


এক সময় যৌথ পরিবারে শিশুরা বাবা-মায়ের সান্নিধ্য ছাড়াও ঠাকুরদা, ঠাকুরমার সাহচর্যে বড় হত। মা রেগে গিয়ে গায়ে হাত তুললে, কাকিমা, জেঠিমা, ঠাকুরমার স্নেহের পরশ তাদের আগলাত। একান্নবর্তী পরিবারে সন্তান বড় হয়ে যেত বাড়ির আর পাঁচ জনের কোলেপিঠেই। সেই যৌথ পরিবার এখন অতীত। বাবা-মা দু’জনেই কর্মরতা। অনেক সন্তানই এখন বড় হয় বাবা অথবা মায়ের একলার অভিভাবকত্বে। সময়ের সঙ্গে বদলেছে নতুন প্রজন্মের শিশুদের মন এবং মানসিকতাও। ফলে, সন্তানের মনের তল পাওয়াও কঠিন। সামান্য কারণে তারা হয়তো রেগে যাচ্ছে, জেদ করছে। কখনও চুপ হয়ে থাকছে। ফলে প্রশ্ন থাকে, কী ভাবে অভিভাবকেরা এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের সঠিক ভাবে মানুষ করবেন?


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও