You have reached your daily news limit

Please log in to continue


অভ্যুত্থানের ডকুমেন্টেশন তৈরির প্রণালি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শিখতে পারি

মুশফিকুর রহমান জোহান, একজন মানবাধিকার কর্মী ও আলোকচিত্রী। জোরপূর্বক গুমের শিকার এমন পরিবার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এ কাজ করছেন। এছাড়া তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির একজন কেন্দ্রীয় সদস্য।

সামিয়া আকতার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক। তাদের দক্ষিণ কোরিয়া সফর নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন বণিক বার্তায়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সাবিদিন ইব্রাহিম

আপনারা সম্প্রতি বাংলাদেশের ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া সফর করলেন। আপনাদের সফরের উদ্দেশ্যটা যদি সংক্ষেপে বলতেন।


আমরা অনেক দিন ধরেই মানবাধিকার নিয়ে কাজ করছি। সেই সুবাধে মুস্তাইন জহির ভাইয়ের সঙ্গে দেখা হয়। আমি তার সঙ্গে শেয়ার করি, যেহেতু আমি গুম নিয়ে কাজ করেছি, এ গুম নিয়ে কাজের বিষয়টি কীভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি, মানুষকে সচেতন করতে পারি এবং গ্লোবাল সলিডারিটির জায়গা তৈরি করতে পারি। তখন তিনি আমাকে পরামর্শ দেন দক্ষিণ কোরিয়ায় কোরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফাউন্ডেশন (কেডিএফ) নামে একটি সংস্থা আছে। তিনি সেই ফাউন্ডেশনের জন্য আমাকে মনোনয়ন দেন। মনোনয়ন পাওয়ার পর আমরা তাদের সঙ্গে এবং কোরিয়ার সিভিল সোসাইটির উদ্যোগের মাধ্যমে সেখানে যাই। এ সফরের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের জুলাইয়ের মনসুন রেভল্যুশন সম্পর্কে জানানো। পাশাপাশি ১৭ বছর ধরে আমাদের দেশে কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে সে বিষয়ে তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা।


এছাড়া কোরিয়ায় যে একটি আপরাইজিং হয়েছে, তাদের গণতন্ত্রের বর্তমান অবস্থায় তারা কীভাবে পৌঁছেছে, সেটাও জানার সুযোগ হয়েছিল। এটি একটি লম্বা জার্নি ছিল। সেই জার্নিটাকে তারা কীভাবে তাদের আপরাইজিংগুলোকে ধারণ করেছে এবং সেই আপরাইজিংগুলোর ভিত্তিতে তারা কীভাবে ন্যারেটিভ তৈরি করেছে, কালচারাল মোবিলাইজেশন করেছে সেই বিষয়গুলো বোঝা এবং শেখাই ছিল আমাদের এ সফরের মূল উদ্দেশ্য।

আমাদের জুলাই অভ্যুত্থানকে আপনারা কীভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় উপস্থাপন করেছেন?

প্রথমত, কেডিএফের যে ফোরাম ছিল, এটাতে আমরা গিয়েছিলাম। সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংসদ সদস্য, নাগরিক সমাজের সদস্যসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা ছিলেন। তাদের আমরা আমাদের জুলাই বিপ্লব সম্পর্কে জানিয়েছিলাম।

দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৯৮০ সালে গোয়াংজু গণজাগরণ হয়েছিল, সেটার সঙ্গে আমাদের বেশ মিল রয়েছে। দুটোতেই মূল লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্রায়ণ—যে প্রক্রিয়ায় মানুষের অংশগ্রহণ এবং সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ একটা সফল গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরি করা।

আমাদের সঙ্গে তাদের সংলাপ হয়েছে। তারা তাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনটা কীভাবে করেছেন এবং সেটাকে ধরে রাখা ও সংরক্ষণ করার জন্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা আমাদের জানিয়েছেন। আমরাও তাদের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি, কীভাবে আমাদের আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে, ধরে রাখা যায় এবং এর চেতনাকে কীভাবে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা যায়। একই সঙ্গে আমাদের মধ্যে এ চেতনা ধরে রাখার জন্য কী কী উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে, তা নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি।

জুলাইয়ের এ চেতনা ধরে রাখা এবং গণতন্ত্রায়ণের প্রক্রিয়াটাকে আরো সক্রিয়তার সঙ্গে এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আমরা তাদের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন পরামর্শ নিয়েছি। তারা আমাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যেগুলো অনুসরণ করে আমরা কীভাবে এটা করতে পারি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন