চট্টগ্রামের মেজবান। এই মেজবানের কথা মানুষের মুখে মুখে প্রায়ই শোনা যায়। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বাইরের জেলার কোন লোক একবার খাওয়ার সুযোগ পেলে আর ভুলতেই চান না এই মাংসের স্বাদ। কিন্তু কি আছে এতে?
অনেকের বাড়িতে গরুর মাংস রান্না হয়। প্রায়ই মানুষের এটাই পছন্দের খাবার। সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার। অনেকে অনেকভাবে রান্না করেন এই গরুর মাংস। কিন্তু চট্টগ্রামের মেজবানির মতো হয় না কেন?
চট্টগ্রামের মানুষেরা বলে থাকেন, মেজবানির রান্না সবচেয়ে আলাদা। নিজেদের বাড়িতে যে মাংস রান্না হয় তার সঙ্গে মেজবানির অনেক তফাৎ। সম্পূর্ণ আলাদাভাবে মেজবানির মাংস রান্না করা হয়।
চট্টগ্রামের মেজবান কী?
দেশব্যাপী চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মেজবানের বেশ খ্যাতি রয়েছে। এই মেজবান দেশ পেরিয়ে দেশের বাইরেও পৌঁছে গেছে। দেশের বাইরে অবস্থানরত প্রবাসিরা মাঝেমধ্যে মেজবানির আয়োজন করে থাকেন।
জানা যায়, মেজবান শব্দটি একটি ফারসি শব্দ। এই মেজবানকে চট্টগ্রামে মেজ্জান বলা হয়। ১৮ দশক থেকে চট্টগ্রামে মেজবানের প্রচলন শুরু হয়ে আসছে। যেখানে চট্টগ্রামের ধনীরা বিভিন্ন উত্সবে গরিব লোকদের উন্নতমানের খাবারের আয়োজন করতেন। সেই থেকে মেজবানের প্রচলন। যা এখনও রয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বাইরে অন্য জেলায় এই মেজবানকে জেয়াফত বলা হয়।