
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: চ্যালেঞ্জের মুখে নির্মাণকাজ
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের অনেক জায়গায় পিলারও দাঁড়িয়ে গেছে। তবে, বেশকিছু চ্যালেঞ্জের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২২ সালের ১২ নভেম্বরে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়। বর্তমানে ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়েটির নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে। মোট এক হাজার ৯৬০টি পিলারের মধ্যে এক হাজার ২০০টি পিলার দাঁড়িয়ে গেছে। ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদকাল থাকলেও এর সার্বিক অগ্রগতি মাত্র ৫০ শতাংশ। আছে মাত্র ১৬ মাস। এ সময়ের মধ্যে প্রকল্পটির সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে জনগণের জন্য তা উন্মুক্ত করতে বেশ বেগ পেতে হবে প্রকল্প-সংশ্লিষ্টদের।
তারা বলছেন, ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণকাজে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- ইউটিলিটি রিলোকেশন, বিমানবন্দর এলাকায় কাজ করার জন্য সাইট না পাওয়া এবং প্রকল্পের ডিজাইন পরিবর্তন।
আশুলিয়া বাজার থেকে সাভার ইপিজেড পর্যন্ত বিদ্যুতের লাইন সরাতে হবে, যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ কারণে আপাতত ওই অংশে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ এলাকার বিদ্যুতের লাইন মাটির নিচ দিয়ে নিতে হবে। এতে প্রয়োজন হবে বাড়তি খরচ। যা প্রকল্পে আগে থেকে ধরা ছিল না।
বিমানবন্দর এলাকায় কাজ করার জন্য সাইট না পাওয়া
বিমানবন্দরের কাওলা থেকে পিলার তুলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের জমি পড়েছে এ অংশে। তারা জমি হস্তান্তর করছে না সেতু কর্তৃপক্ষকে। ফলে এ অংশের ৮৫০ মিটারের মধ্যে ৬৫০ মিটারে কোনো কাজ হচ্ছে না।
ডিজাইন পরিবর্তন
ধউর থেকে আশুলিয়া নদীর শ্রেণি পরিবর্তন হয়েছে। ফলে ব্রিজের উচ্চতা বেড়েছে। এ ছাড়া বাইপাইল মোড়ে ওঠা-নামার জায়গা ছিল না। সেখানে ট্রাম্পেট ইন্টারচেঞ্জ করা হবে নতুন করে। ফলে ডিজাইনেও পরিবর্তন আনা হবে। এসব কারণে প্রকল্পের ব্যয় আগের চেয়েও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।