রমজানে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে হবে

কালের কণ্ঠ ড. নিয়াজ আহম্মেদ প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৫

প্রতিবছর রমজান সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এ সময়ে কিছু পণ্যের চাহিদাও বেড়ে যায়। বাড়তি চাহিদা মেটানোর জন্য বাড়তি আমদানিও করা হয় এবং রমজানের বেশ আগে থেকেই এই কাজটি করা হয়ে থাকে। কিন্তু তার পরও বাড়তি চাহিদার নাম করে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি করা যেন আমাদের সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে।

ছোলা, খেজুর, ফলমূলসহ কিছু পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। সরকারের পক্ষ থেকে রমজানে মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য বহুবিধ পদক্ষেপও গ্রহণ করা হয়, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না। যেখানে বিশ্বের সব দেশে রমজানের সময় পণ্যমূল্য রোজাদারদের কথা মাথায় রেখে কমানো হয়, সেখানে আমাদের দেশ ব্যতিক্রম। ব্যবসায়ীরা যেন এক মাস মুনাফা করে বছরের বাকি সময়টা বসে বসে খেতে চান।


এ বছরের রমজানে শীতের সবজি বাজারে থাকবে বলে সবজির দাম বেশ কম হবে, কিন্তু রমজানে সবজি বড় অনুষঙ্গ নয়। রোজাদাররা একটু মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করেন, কিন্তু সেসব খাবারের দাম কমে না। প্রতিবছর সরকারের পক্ষ থেকে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য খাদ্যপণ্যে ভর্তুকি এবং বিনা মূল্যে খাদ্যপণ্য দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর ৩০ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ৫০ লাখ পরিবার।




ঈদের সময় এক কোটি পরিবারকে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। আমরা নিশ্চিত, আমাদের স্বল্প আয়ের মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হবে। এ ছাড়া ২৫টি স্থানে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি করা হবে, কিন্তু আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম। আমাদের জীবনযাত্রার মানের বিবেচনায় এখন নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তের কথাও মাথায় রাখতে হবে। কেননা মধ্যবিত্ত এখন সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।


তারা না পারছে নিজেদের সামলাতে, আবার তাদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বিশেষ কোনো সুবিধাও পাচ্ছে না। এখন সময় এসেছে তাদের জন্যও কিছু করার।


অন্যান্য সময়ের তুলনায় আমরা রমজানে বাজার মনিটরিংয়ের ওপর বেশি জোর দিই। কেননা আমরা নিশ্চিত হই যে এ সময়ে জিনিসপত্রের দাম বাড়ানো হয়। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রতি রমজানেই বলা হয়, পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, কোনো জিনিসের দাম বাড়বে না। এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কছাড়ও দেওয়া হয়, কিন্তু সুফল বেশ কম পাওয়া যায়। নতুন একটি সরকার এবং নতুন এক পরিবেশে আমরা এ বছর ভিন্ন কিছু আশা করি। আমরা বৈষম্যহীন ছাত্রসমাজের কাছ থেকে উদ্যোগ আশা করি। আমরা দেখেছি, ৫ আগস্টের পর বেশ কয়েক দিন জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে ছিল। এখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি তাদের কাছ থেকেও আমরা গঠনমূলক উদ্যোগ আশা করতে পারি। বাজার মনিটরিং কাজটি সার্বক্ষণিক হওয়া দরকার। কেননা একটি নির্দিষ্ট সময়ে মনিটরিং করলে বাকি সময় আগের অবস্থা বিরাজ করে। এর জন্য প্রয়োজন জনবলের। বিভিন্ন ব্যক্তির সমন্বয়ে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। শুধু আইন বাস্তবায়নে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ দিয়ে কাজ হয় না। স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ নিয়ে প্রতিটি এলাকায় কমিটি করা যেতে পারে, যারা সরকারকে সহায়তা করবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও