
যাদুকাটায় লীগের জায়গায় বিএনপি, ‘বালুখেকোরা’ আরও বেপরোয়া
দেশে সরকার পাল্টে সংস্কারের তোড়জোড় চললেও স্বচ্ছ জলের সীমান্ত নদী সুনামগঞ্জের যাদুকাটার পাড়ে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনের মহোৎসবে ভাটা পড়েনি।
স্থানীয়রা বলছেন, বালু ও পাথর তোলার ক্ষেত্রে দেড় দশক ধরে নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা আর নেই। বিএনপির নেতারা এখন সেই জায়গা নিয়েছেন।
নতুন ‘ব্যবস্থাপনা’ আসার পর ‘বালু ও পাথর খেকোরা’ আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। আগের তুলনায় বেশি ‘সেইভ মেশিন’ বসছে নদীতে। যার ফলে আধা কিলোমিটারের নদী এখন তিন কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
আর স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপি নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করেই ইজারাদার এসব কাজ চালাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী এর প্রতিবাদ করলে জোটে হুমকি, নির্যাতন আর মামলা।
বালু ও পাথর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন নদীর তীরে সেইভ মেশিন চালিয়ে বালু-পাথর তোলার জন্য প্রতিফুটে পাঁচ থেকে ছয় টাকা দিতে হয়। আর নদীর পাড় থেকে একটু দূরে নদীতে সেইভ মেশিন চালিয়ে বালু তোলার জন্য প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় হাজার করে টাকা দিতে হয়। এই টাকার ভাগ যায় সবখানে। ব্যবসায়ীদের প্রতিফুট বালু-পাথরে গড়ে ১১ টাকা করে র্যয়ালটি দিতে হয় ইজারাদারকে।