ভাষা আন্দোলনে সংবাদপত্র ও সম্পাদকের ভূমিকা

ঢাকা পোষ্ট রাহাত মিনহাজ প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩৪

দেশভাগের আগে ঢাকাকেন্দ্রিক সাংবাদিকতার ব্যাপ্তি খুব একটা বিস্তৃত ছিল না। এ সময়ের প্রধান ও প্রভাবশালী বাংলা সংবাদপত্র আজাদ ও ইত্তেহাদ প্রকাশিত হতো কলকাতা থেকে। যদিও ঢাকায় এই সংবাদপত্র দুটির প্রচুর পাঠক ছিল। সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনীতিসহ নানা বিষয়ে মানুষের মনোভাব গঠনের সংবাদপত্র দুটির ভূমিকা অনস্বীকার্য।


১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পরপরই কলকাতা থেকে ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়েছিল আজাদ। আর ইত্তেহাদ অন্তত চারবার ঢাকায় চলে আসার আবেদন করলেও মুসলিম লীগের অন্তর্দলীয় কোন্দলে তা আটকে যায়। ফলে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রতিষ্ঠিত এই সংবাদপত্রটির কলকাতাতেই অকালে বন্ধ হয়ে যায়।  


ইত্তেহাদ-এর পৃষ্ঠপোষক ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। ১৯৪৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করা সংবাদপত্রটি সম্পাদক ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, লেখক ও সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদ। এটা ছিল বাংলা ভাষার প্রথম আধুনিক কাঠামোর একটি উন্নত সংবাদপত্র।


যাত্রা শুরুর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সংবাদপত্রটি কলকাতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও সুন্দর সংবাদপত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। কিন্তু দেশ বিভাগের পরই ছন্দপতন ঘটে। ওই সময় অনেক শিক্ষিত মুসলিম কলকাতা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন। তাই ইত্তেহাদ-এর পাঠক কমে যায়। যদিও ঢাকার পাঠকের কথা চিন্তা করে সংবাদপত্রটির ব্যবস্থাপনা বিভাগ ওরিয়েন্টাল এয়ারওয়েজের মাধ্যমে সংবাদপত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল।


পরে মুসলিম লীগ সরকার সেটাও বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ১৯৫০ সালের গোঁড়ার দিকে পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই সংবাদপত্রটি বাংলা ভাষার পক্ষে তাদের জোরালো অবস্থানের জানান দিয়েছিল। যার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারকের ভূমিকা রাখেন সম্পাদক আবুল মনসুর আহমদ।



এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন, ভাষা আন্দোলনের চূড়ান্ত ক্ষণ ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি হলেও কয়েক বছর আগে থেকেই ভাষার প্রশ্নে আলোচনা শুরু হয়েছিল। যে বিষয়ে জনমত গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল কিছু সংবাদপত্র। তবে এর বিপরীতে কিছু সংবাদপত্র ও সম্পাদক যে বাংলা ভাষার বিরোধী ছিলেন সেটাও ঐতিহাসিক সত্য।


প্রথমে আসা যাক, ইত্তেহাদ ও আবুল মনসুর আহমদের ভূমিকায়। পাকিস্তান সৃষ্টির আগেই ইত্তেহাদ প্রকাশ করে বাংলা ভাষা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা। ১৯৪৭ সালের ২২ ও ২৯ জুন দুই কিস্তিতে ইত্তেহাদ-এর পাতায় প্রকাশিত হয় মোহাম্মদ আবদুল হকের প্রবন্ধ ‘বাংলা ভাষা বিষয়ক প্রস্তাব’।


উল্লেখ করা যেতে পারে, ভাষার পক্ষে এই লেখাগুলো প্রকাশে শুধু আগ্রহী ভূমিকা পালনই নয়, ইত্তেহাদ এর সম্পাদকীয়তে বাংলা ভাষার পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন সম্পাদক আবুল মনসুর আহমদ। যদিও ১৯৪৮ ও ১৯৫২ সালে যখন ভাষা আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো ঘটেছে তখন ইত্তেহাদ খুব একটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। কারণ ১৯৪৮ সালে সংবাদপত্রটি পূর্ব বাংলায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। আর ১৯৫২ সালের আগেই সংবাদপত্রটির অকাল মৃত্যু ঘটে।


আসা যাক, আজাদ-এর ভূমিকায়। ১৯৩৫ সালে কৃষক প্রজা পার্টির শেরে বাংলা এ.কে. ফজলুল হক বাংলার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর নতুন একটি সংবাদপত্র প্রকাশের তাগিদ অনুভব করেন। সেই তাগিদ থেকেই ১৯৩৬ সালের ৩১ অক্টোবর প্রকাশিত হয়েছিল আজাদ। যার সম্পাদক ছিলেন বিখ্যাত মুসলিম লীগ নেতা ও সাংবাদিক মওলানা আকরাম খাঁ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও