রাজনীতির অনিশ্চয়তা এখন কতটা গভীর

প্রথম আলো এ কে এম জাকারিয়া প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৩১

অন্তর্বর্তী সরকার ছয় মাস পার করেছে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে—এমন একটি ধারণাও তারা দিয়েছে। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অবশ্য দ্য ন্যাশনাল সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সবচেয়ে সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে সংস্কারের প্রয়োজনে আরও তিন মাস লাগতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। মূল ছয়টি সংস্কার কমিশন এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদন দিয়ে দিয়েছে।


সংস্কারের প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। দেশে একটা নির্বাচনী আবহাওয়া তৈরি এবং এই পরিস্থিতি স্বস্তি দেওয়ার কথা। কিন্তু দেশের রাজনীতিতে তো টের পাওয়া যাচ্ছে অনিশ্চয়তা ও অস্বস্তি।


কেন এই অনিশ্চয়তা ও অস্বস্তি? সাধারণভাবে উত্তরটি হচ্ছে, সবাই এখন নিজ নিজ চাওয়া-পাওয়া নিয়ে এগোতে চাচ্ছে এবং গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর এই চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে বৈপরীত্য রয়েছে। কখন নির্বাচন, কোন পর্যন্ত সংস্কার বা সরকারের মেয়াদ—এসব নিয়ে আসলে পক্ষগুলোর মধ্যে বড় মতপার্থক্য রয়েছে।


দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মূল ভূমিকা পালনকারী পক্ষগুলোকে আমরা চিহ্নিত করতে পারি এভাবে—গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রসমাজ (অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলো বাদে), সরকার, বিএনপি ও সহযোগী কিছু রাজনৈতিক দল, জামায়াতে ইসলামী ও কিছু ইসলামি রাজনৈতিক দল এবং সেনাবাহিনী।



অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের ভাষণে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছিলেন। এর আগে তিনি এমন ধারণা দিয়েছিলেন, যাতে মনে হয়েছিল যে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ তিন থেকে সাড়ে তিন বছর হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যেও মেয়াদ নিয়ে মতভিন্নতার কথা শোনা যায়।


সেনাপ্রধান বলেছিলেন, ১৮ মাসের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত। এ বছর ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে তাঁর চাওয়ার সঙ্গে মিলে যাবে। বিএনপি যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চায়। তাদের পক্ষ থেকে এ বছর জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবিও তোলা হয়েছে। তাদের সহযোগী ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোও তা-ই চায়। ছাত্ররা দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে নন, তাঁরা প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচন করার পক্ষে। জামায়াতে ইসলামী বা অন্য ইসলামি দলগুলোর দ্রুত নির্বাচন নিয়ে কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। তারা সরকারকে সময় দিতে চায়।


২.
গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের দল গঠনের উদ্যোগ রাজনীতিতে নতুন মাত্রা দিয়েছে। দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখন সময়ের ব্যাপারমাত্র। গণ-অভ্যুত্থান বা এ ধরনের যেকোনো আন্দোলনে দেশের ছাত্রসমাজ সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ কী অবস্থান নিয়েছিল, তা আমরা জানি। কিন্তু ২৪–এর গণ-অভ্যুত্থানের চরিত্র আলাদা।


নব্বইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রসংগঠনগুলো নিজেদের মূল রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থানের প্রতিই অনুগত থেকেছে। এরপরের রাজনৈতিক ইতিহাস আমাদের সবারই জানা। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরা মিলে ‘তিন জোটের রূপরেখা’ তৈরি করলেও তারা জনগণকে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও