-67b50794aa0eb.jpg)
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সোম ও মঙ্গলবার ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন। এ কর্মসূচিতে উত্তরের পাঁচ জেলার জনতার ঢল নেমেছিল। লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও নীলফামারীর নদী পারের ১১ পয়েন্টে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে এ ব্যতিক্রমী কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ভারতকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে যদি বন্ধুত্ব করতে চান, আগে তিস্তার পানি দেন। সীমান্তে হত্যা বন্ধ করেন। আমাদের সঙ্গে বড় দাদা আর মাস্তানি আচরণ বন্ধ করেন।’ বিএনপির মহাসচিবের এ বক্তব্য যথার্থ। আমরা দেখেছি, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতকে তার চাহিদা অনুযায়ী সব সুবিধা দেওয়া হলেও ভারত দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ঝুলিয়ে রেখেছে তিস্তা চুক্তি, এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। ফলে তিস্তা নদী এখন এক মৌসুমি নদীতে পরিণত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে নদী একেবারে শুকিয়ে যায়। আর বর্ষাকালে পানি উপচে পড়ে, সৃষ্টি হয় নদী ভাঙন। বর্ষায় বন্যা ও ভাঙনে যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলি জমি, বসতবাড়ি আর গ্রামীণ সড়ক; তেমনি শুষ্ক মৌসুমে নদীতে দেখা যায় পানির তীব্র্র সংকট।