
সম্পর্কে কি আধিপত্য থাকতে পারে
দুটি মানুষের মনের মিল যতই থাক, শতভাগ বিষয়ে সহমত হওয়া প্রায় অসম্ভব এক ব্যাপার। অনেকেই নিজের ভাবনা চাপিয়ে দিতে চান অপরজনের ওপর, বিশেষ করে নিজের জীবনসঙ্গীর বেলায়। কেউ যদি সঙ্গীর ওপর আধিপত্য বিস্তার করেন, তাহলে কি সম্পর্কটাকে সুস্থ বলা যায়? ভালো লাগা এবং ভালোবাসার ভিত্তির ওপর যে সম্পর্ক দাঁড়িয়ে থাকে, আদতে কি তাতে আধিপত্য থাকতে পারে?
পারিবারিক এবং সামাজিক পরিসরে প্রত্যেকেরই অবস্থান এবং দায়িত্ব আলাদা। সেই অবস্থান থেকেই একজন ব্যক্তি তাঁর জীবনসঙ্গীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ভাবেন। সঙ্গীর খাদ্যাভ্যাস, পোশাক, ঘুমের সময়সহ বহু বিষয় নিয়েই তাঁর কিছু বলার থাকতে পারে। পারিবারিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও দুজনের ভাবনা দুই রকম হতে পারে। এসব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেকে সঙ্গীর ওপর আধিপত্য বিস্তার করে ফেলেন। মতের ভিন্নতা নিয়ে তো আলাপ করা যেতেই পারে। কিন্তু কথার ধরনের ওপরই নির্ভর করছে, সম্পর্কটা কেমন। এ প্রসঙ্গে বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী এবং পিএইচডি গবেষক হাজেরা খাতুন।
যদি হয় মতের অমিল
ধরুন, আপনার সঙ্গীকে নির্দিষ্ট কোনো রঙের পোশাকে দেখতে ইচ্ছা করে আপনার। কিন্তু রঙটা আপনার সঙ্গীর আবার অপছন্দ। এমন পরিস্থিতিতে আপনার ইচ্ছার প্রকাশ কিন্তু সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারেন তাঁর কাছে। আপনার অনুরোধে হয়তো তিনি কখনো ওই রঙের পোশাক পরবেন। কিংবা হয়তো কখনোই পরবেন না। এটি তাঁর ব্যক্তিগত স্বাধীনতা। যদি না-ই পরেন, আপনার অভিমান হওয়াও আবার অস্বাভাবিক নয়। তবে এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে আধিপত্যমূলক আচরণ করা ঠিক নয়। নিজের ইচ্ছা তাঁর ওপর চাপিয়ে দেবেন না। বহু বিষয়েই কিন্তু দুজনের ভাবনার অমিল থাকতে পারে। সেসব নিয়ে আলাপও হতে পারে। তবে সবক্ষেত্রেই একে অন্যের ভাবনা এবং ইচ্ছাকে সম্মান করা জরুরি। সম্মানবোধ থাকলে আধিপত্যের প্রশ্ন আসে না।