উন্নত মানবসম্পদ গড়তে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা

ঢাকা পোষ্ট সৈয়দ মো. সিয়াম প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০১

আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা। বাংলাদেশ তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল একটি রাষ্ট্র আর আমরা প্রতিনিয়ত উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত হওয়ার পথে চলছি। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম একটি জনবহুল দেশ। আপাতদৃষ্টিতে অধিক জনসংখ্যা দেশের উন্নয়নের পথে অন্তরায় মনে হলেও আমরা বাংলাদেশের এই বিপুল সংখ্যক জনসংখ্যার মাঝেই খুঁজি সম্ভাবনার অবারিত দুয়ার।


দেশের এই বিশাল জনগোষ্ঠী সম্পদে পরিণত করতে পারলে খুব দ্রুতই আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। বিশাল এই জনগোষ্ঠী দক্ষ ও কর্মক্ষম মানবসম্পদে পরিণত করতে হলে, তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ আর দক্ষতার উন্নয়ন জরুরি। আর এজন্য গতানুগতিক ধারার আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজন বৃত্তিমূলক (ভোকেশনাল), কারিগরি শিক্ষা আর কর্মমুখী শিক্ষার বিকাশ ঘটানো। যেখানে প্রশিক্ষিত মানবসম্পদের জোগান দেওয়াই হলো কর্মমুখী ও কারিগরি শিক্ষার মূল লক্ষ্য।


আর কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয় ও পরিকল্পিত বিনিয়োগের মাধ্যমে আমাদের দেশের জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তরের মধ্যেই অন্তর্নিহিত রয়েছে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব। ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে এক সময় জনসংখ্যাকে প্রধান সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হলেও বর্তমানে পরিকল্পিত নীতির কারণে জনসংখ্যা জনসম্পদে পরিণত হয়েছে। এ সম্পদকে যথাযথভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার বিষয়টি সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে।



বিভিন্ন জরিপ ও গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায়, ২০০৯ সাল পর্যন্ত আমাদের দেশের মাত্র ১ শতাংশ লোক কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ছিল। বর্তমানে এই হার প্রায় ২৫ শতাংশের মতো। এই ধারা চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালে ৫০ শতাংশে দাঁড়াবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উন্নত রাষ্ট্র হওয়ার ক্ষেত্রে এটি অন্যতম ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।


আমাদের সমাজে এখনো এই ধারণা প্রচলিত আছে যে, তুলনামূলক কম মেধাবী বা আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়েরা কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় যায়—যাতে শিক্ষা শেষ করেই অপেক্ষাকৃত ছোট চাকরিগুলোয় ঢুকতে পারে। এই ধারণা যে পুরোপুরি ভুল, তা বলা যাবে না।


কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলোয় যারা ভর্তি হয়, তাদের অনেকেই হয় অন্যকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না; নয়তো আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে বা নানা ধরনের সীমাবদ্ধতার কারণে তাদের সেখানে ভর্তি হতে হয়। আমাদের এই ধারণাগত দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনা জরুরি।


সেইসাথে একইসঙ্গে নতুন নতুন শিল্প ধারণা সৃষ্টি করে সেই শিল্পে মানুষের দক্ষতা তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে হবে। কারিগরি শিক্ষাকে ঢেলে সাজিয়ে যুগোপযোগী করে এর বাস্তবায়ন ঘটানো সম্ভব। আবার এর উৎকর্ষ, পরিবর্তন ও কারিগরি জ্ঞান থেকে অর্জিত ফলাফল যাচাইয়ের সুযোগও সৃষ্টি করতে হবে। তা না হলে সব পরিকল্পনা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও