
অফিসার্স ক্লাবে ৪২৩ কোটির বিলাসী ব্যয়
সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার্স ক্লাব। রাজধানীর বেইলি রোডে এই ক্লাবের জন্য রাষ্ট্রের ৪২৩ কোটির বেশি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক ভবন। একটি ক্লাবের জন্য শত শত কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প কীভাবে অনুমোদন হলো, সেটি এখন বড় প্রশ্ন।
এই প্রকল্পে তিনটি সুইমিংপুল ও আনুষঙ্গিক উপকরণের জন্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা, ১৪৫০ টন এসির জন্য ২৪ কোটি টাকা, বিদেশি ফার্নিচারের (আসবাব) জন্য ৭ কোটি টাকা খরচের হিসাব অনেকেই অস্বাভাবিক মনে করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে ধরনের ফার্নিচার কেনার দরকার, তা দেশে পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে দরপত্রে বিদেশি ফার্নিচারের শর্ত দেওয়া হয়েছে। বড় কথা হলো, সবকিছু আমাদের হাতে না। যাদের জন্য কাজ করা হয়, তাদের চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে প্রধান প্রকৌশলী বলেন, ‘অনেক কিছু আছে, যা স্থাপত্য অধিদপ্তরের বিষয়। আমরা কাজ করি; বাস্তবায়ন করি। এটি সরকারি প্রতিষ্ঠান না, এটা সত্য। মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, আমরা শুধু কাজ করছি।’
বেসরকারি ক্লাবে ৪২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ: ৪২৩ কোটি ৪৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার মধ্যে প্রায় ২৬৫ কোটি টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। সেখানে ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবনের জন্য ব্যয় হয়েছে ১৬৪ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, আরেকটি ট্রিপল বেসমেন্টসহ ১২ তলা ভবন নির্মাণে ১৩০ কোটি ৯১ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। দুটি আলাদা ভবনকে যুক্ত করা হচ্ছে একটি কমপ্লেক্স হিসেবে। এ ছাড়া ৯টি লিফটের জন্য ১৯ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, সিকিউরিটি লাইট ৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, সিসিটিভি ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা, সাউন্ড সিস্টেম ও স্টেজ লাইট ৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সিনেপ্লেক্সে ৩ কোটি টাকা ও ডিজিটাল ডিসপ্লের জন্য ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে।