
ভিটামিন-সাপ্লিমেন্ট খেয়ে লিভারের ক্ষতি করছেন না তো
হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ উদ্ভিদ, ভেষজ, খনিজ এবং ধাতু ব্যবহার করে বিভিন্ন অসুখের চিকিৎসা করে আসছে। তবে প্রাচীন জ্ঞানে ভরা উপাদানগুলো এখন ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সফট জেল, পাউডার, বার, গামি এবং তরল আকারে ফার্মেসির তাক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ফিডগুলো ভরে রেখেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে করা একটি জরিপ থেকে জানা যায়- ৫২% রোগী মনে করেন যে চিকিৎসাকালে তাদের লক্ষণগুলো উপেক্ষা করা হয় ও সঠিকভাবে বিশ্বাস করা হয় না। তাই অনেকেই প্রাকৃতিক ‘ডু-ইট-ইয়োরসেল্ফ’ ওষুধের দিকে ঝুঁকছেন, আর এতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাপ্লিমেন্ট অন্তর্ভুক্ত থাকে।
ফলে সাপ্লিমেন্ট শিল্প বেড়ে চলেছে রকেটের গতিতে, কিন্তু ‘প্রাকৃতিক উপাদান’ এর উল্লেখ থাকায় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা হচ্ছে কম! ২০২২ সালের রিপোর্ট বলছে, আমেরিকায় লিভার ইনজুরির ৪৩% আর লিভার ফেইলিউরের ১৯% এর পেছনে দায়ী এই সাপ্লিমেন্টগুলো। মজার ব্যাপার হলো, গত ২৫ বছরে এই সংখ্যা প্রায় আট গুণ বেড়ে গেছে! তাই সাপ্লিমেন্ট নেওয়ার আগে দুবার ভাবতে হবে।
কোন পুষ্টির ঘাটতি এবং সয়সের জন্য নির্দিষ্ট সাপ্লিমেন্টেশন উপকারী হতে পারে। গর্ভবতী নারীরা বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধের জন্য ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করেন। বয়স্ক ব্যক্তিরা অতিরিক্ত বি-টুয়েলভ থেকে উপকৃত হন। অনেক গবেষণা বলে যে ওমেগা-৩ হৃদপিন্ড ও লিভারের জন্য ভালো। প্রোবায়োটিক্স খাওয়া ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস উপশম করতে পারে। অসংখ্য গবেষণা এই ব্যবহারগুলোকে সমর্থন করে, তবে অন্যান্য বেশিরভাগ দাবিগুলোর পেছনে কোন গবেষণালব্ধ প্রমাণ পাওয়া যায় না।