জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ : পর্যালোচনা

যুগান্তর এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৬

স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স ৫৩ বছর। একটি রাষ্ট্রের গড়ে ওঠার জন্য ৫৩ বছর খুব বেশি সময় নয়, আবার একেবারে কম সময়ও নয়। বিগত ৫৩ বছরে আমরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন করেছি, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিপজ্জনকভাবে পিছিয়ে গেছি। আমাদের কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন ঘটেছে, ঈপ্সিত মানে না হলেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিক্ষার হার, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, জীবনযাত্রার মান ইত্যাদি ক্ষেত্রে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু, নীতি-নৈতিকতায় আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। এখন আমাদের সমাজে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও আস্থা নেই। হিংসা, বিদ্বেষ, অযৌক্তিক আচরণ, মিথ্যাচার, অপবাদ ইত্যাদি অনেক বেড়ে গেছে। আমরা অনেকেই লাজ-লজ্জা বিসর্জন দিয়ে দু’হাত ভরে নিচ্ছি। আবার কেউ কেউ অনেক অযৌক্তিক দাবি করছি ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমরা আরও পিছিয়ে পড়ব। সুতরাং, এ অবস্থার অবসান হওয়া অত্যাবশ্যক।


একটি রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রতিষ্ঠান হলো, রাজনৈতিক দল এবং আমলাতন্ত্র। রাজনৈতিক নেতারা সৎ, শুদ্ধাচারী, জনবান্ধব, ন্যায়পরায়ণ ও দায়িত্বশীল হলে এবং আমলাতন্ত্রের সদস্যরা মেধাবী, দক্ষ, সৎ, কর্মযোগী, সাহসী, সেবাবান্ধব ও সিদ্ধান্ত প্রদানে চৌকশ হলে রাষ্ট্র সামনে হাঁটে। রাজনীতিক এবং আমলাদের নিয়ত শুদ্ধ না হলে এবং জবাবদিহিতা না থাকলে রাষ্ট্রের পক্ষে সঠিক পথে হাঁটা সম্ভব হয় না।



বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমরা রাজনীতি ও আমলাতন্ত্রের কোনোটাকেই সঠিক পথ দেখাতে পারিনি। তখন আমাদের রাজনীতি হওয়ার কথা ছিল উদার গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং আমলাদের হওয়ার কথা ছিল প্রজ্ঞাসম্পন্ন, চৌকশ, সেবাবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক। কিন্তু আমরা রাজনীতিকে এক ব্যক্তিবাদী এবং আমলাতন্ত্রকে মেধাবিরোধী ও বিশৃঙ্খল অবস্থায় ফেলে দেই। আমরা সব বেসামরিক চাকরিতে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার আয়োজন না করে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে অফিসার নিয়োগ করি। বিনা প্রশিক্ষণে তাদের সরাসরি কাজে পাঠাই। এতে দ্বন্দ্ব ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, দানা বাঁধে রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি।


আমাদের দেশে কেউ কেউ আমলাতন্ত্র বলতে শুধু প্রশাসন সার্ভিসের প্রতি আঙুল তোলে। কিন্তু আমলাতন্ত্রের বিশ্বজনীন সংজ্ঞায় সব বেসামরিক কর্মচারী এতে অন্তর্ভুক্ত।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও