![](https://media.priyo.com/img/500x/https://cdn.deshrupantor.net/contents/cache/images/900x505x1/uploads/media/2025/02/11/4e8adeed8c12e70ccab614999c1a7834-67ab80cb4d589.jpg?jadewits_media_id=95199)
নিয়োগে যাচাই-বাছাই জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা
ঠিক জায়গায় ঠিক মানুষটিকে দায়িত্বে ন্যস্ত করা একটি রাষ্ট্রের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সংবিধান এসব গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব ন্যস্ত করেছে রাষ্ট্রপতিকে। কিন্তু সংবিধানের ৪৮(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া রাষ্ট্রপতি এক পাও নড়তে পারেন না এবং প্রধানমন্ত্রী তাকে কী পরামর্শ দিচ্ছেন তা তিনি সাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞার কারণে কাউকে জানাতেও পারেন না। এমন কী আদালত বা গণমাধ্যমকেও না। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া সংসদে স্বাধীনভাবে একটি বাক্যও বলতে পারেন না।
একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি এতটাই সংবিধান বন্দি। ফ্রান্সের মতো আধা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা কায়েম করে রাষ্ট্রপতিকে এ বন্দিত্ব থেকে উদ্ধার করা যেতে পারে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের জন্য এমপিদের অবস্থাও তথৈবচ। সংবিধানের এই দুটি অনুচ্ছেদ সাংসদবর্গ এবং রাষ্ট্রের এক নম্বর ব্যক্তির জন্য চরম অবমাননাকর। সংসদে অনাস্থা ভোট চালু করে এর সহজ সমাধান সম্ভব। যা অন্যান্য উদার গণতান্ত্রিক দেশে আছে। একজন প্রধানমন্ত্রীকে চিরস্থায়ী করা জনগণ বা সংসদের দায়িত্ব নয়। অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী অপসারিত হলে কোনো দেশ অচল বা অস্থিতিশীল হয়ে যায় না। সব দেশেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সবসময় যোগ্য অনেক মানুষ থাকে। তবুও বিগত ৫৩ বছরে কোনো দলীয় সরকার এই অনুচ্ছেদ দুটির বিন্দুমাত্র সংশোধন করেনি।