সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ থেকে দুর্বৃত্তায়ন

দেশ রূপান্তর সেলিম খান প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৮

দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ও পরিবেশে সংবাদমাধ্যমের প্রতি সাধারণের আস্থার জায়গা ফিরিয়ে আনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বিগত কয়েক দশকে সংবাদমাধ্যমকে রাষ্ট্র ও সরকার নিজ শাসনক্ষমতা সংহত করতে যেভাবে দুর্বৃত্তায়িত এবং নিজস্ব মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছে, তাতে করে মানুষ আর প্রচলিত সংবাদ ও সংবাদব্যবস্থাপনায় আস্থা রাখতে পারছে না। বিশেষ করে গেল দুই দশকের ব্যবধানে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের একটি বড় অংশ নিজেদের পরিণত করেছেন ‘দলদাসে’। বিশেষ করে সেই সময়ে ক্ষমতাসীন দলের লেজুড়বৃত্তিই হয়ে ওঠে এসব দলদাস সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের অন্যতম সম্পাদকীয় নীতি-নৈতিকতা। যার বিনিময়ে দলদাস তথা আওয়ামী সাংবাদিকদের অনেকে নিয়েছেন রাষ্ট্র ও সরকারের তরফ থেকে নানা মাত্রা ও পরিমাণের আর্থিক ও অন্যান্য অনৈতিক সুবিধা।


দেওয়া হয়েছে রাজউক কিংবা রাষ্ট্রের মালিকানায় থাকা আবাসন ও জায়গাজমি। পেয়েছেন টেলিভিশনের লাইসেন্স। যা তারা আবার বিক্রি করেছেন বড় ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলোর কাছে। এমনকি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান কমিউনিকেশন রিসার্চ ইনিশিয়েটিভসহ (সিআরআই) বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে লাখের অঙ্কে মাসোহারাও নিয়েছে অনেক রাজনৈতিক সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্র ও সরকারে থাকা কর্র্তৃত্ববাদী সংগঠনগুলো সংবাদমাধ্যমকে উপরোক্তভাবেই শুধু কলুষিত করেনি, সংবাদমাধ্যমের ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ ও কর্র্তৃত্বের মাত্রা এতটাই সংহত করা হয়েছে যে, অন্য অনেক কিছুর মতোই এই মাধ্যমেও তৈরি হয়েছে ভয়ের সংস্কৃতি। যা চূড়ান্ত মাত্রা নেয় বিগত দুই দশকে। এমনিতর লোভ আর ভয়ের সংস্কৃতিতে পড়ে নিজেদের শিরদাঁড়া শক্ত ও সোজা করে রাখতে পারেনি বেশিরভাগ সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম। অনেক সময়েই সরকার বা রাষ্ট্রযন্ত্র নিজ থেকে কোনো ধরনের আপত্তি না জানালেও সংবাদকর্মীরা নিজে থেকেই সেটি তাদের (সরকার ও রাষ্ট্র) উপযোগী করে প্রকাশ করতে শুরু করে, যা পরিচিতি পায় ‘সেলফসেন্সরশিপ’ হিসেবে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও