![](https://media.priyo.com/img/500x/https://media.prothomalo.com/prothomalo-bangla%2F2025-02-09%2F1kx0578o%2FIMG0502.jpg?rect=357%2C0%2C3266%2C2177&w=622&auto=format%2Ccompress&fmt=avif)
প্রত্যাখ্যানের আঘাত কীভাবে সামলে উঠবেন
প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া একজন মানুষের কথা ভাবুন। প্রত্যাখ্যানের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে পারে তাঁর জীবন। সামাজিকভাবেও যে তিনি কখনো কখনো হাসির পাত্র হয়ে উঠতে পারেন, সেটিও অস্বীকার করার উপায় নেই। সবকিছুর ভেতর দিয়েই অবশ্য জীবন এগিয়ে যেতে থাকে। তবে প্রত্যাখ্যানের সেই আঘাতে কারও কারও মনোজগতে বেশ গভীর ছাপ পড়ে। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘রিজেকশন ট্রমা’।
একপাক্ষিক ভালোবাসায় প্রত্যাখ্যানের আঘাতের ঝুঁকি থাকে মারাত্মক। আবার কেউ প্রেমের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এলেও প্রত্যাখ্যানের আঘাতে জর্জরিত হতে পারেন অপরজন। বিবাহবিচ্ছেদেও এমনটা ঘটতে পারে। প্রত্যাখ্যানের আঘাত পাওয়া একজন মানুষের বিশ্বাসের ভিত নড়ে যাওয়াটা খুব স্বাভাবিক। একদিকে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগতে পারেন তিনি, নিজেকে ভাবতে পারেন ‘অযোগ্য’। অন্যদিকে আবার অন্যের প্রতিও বিশ্বাস হারাতে পারেন তিনি। এমনটাই বলছিলেন স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেডের চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানী শারমিন হক।
নিজের ভেতর যা চলে
প্রত্যাখ্যানের কারণে নিজেকে তাঁর মনে হতে পারে অসুন্দর ও অপাঙ্ক্তেয়। নিজের ওপর রাগও হতে পারে। বিষণ্নতায় ভুগতে পারেন তিনি। কোনো কিছুই ভালো না লাগা বা কোনো কাজেই আগ্রহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। মন খারাপের এক অনুভূতিতে ডুবে থাকতে পারেন। নিজেকে দুর্বল মনে হতে পারে। ঘুম, খাওয়াদাওয়া ও রোজকার অন্যান্য স্বাভাবিক কাজও এলোমেলো হয়ে পড়তে পারে। কাজকর্মে মনোযোগ দিতে অসুবিধা হতে পারে। আবেগীয় ভারসাম্য এলোমেলো হয়ে পড়তে পারে। কেউ কেউ নিজের ক্ষতি করতেও উদ্যত হন।