You have reached your daily news limit

Please log in to continue


সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ নির্মাণে আমাদের করণীয়

সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতি- দুটি শব্দ একে অপরের উপর নির্ভরশীল। ‘কাউকে পিছনে ফেলে নয় সকলকে নিয়ে উন্নয়নে’র কথা যেখানে উচ্চারিত হচ্ছে সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অনিবার্য। কারণ বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষ মানুষকে রাষ্ট্র ও সরকার সমান দৃষ্টিতে দেখবে এটাই স্বাভাবিক। উন্নয়ন সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। আর সম্প্রতি সহাবস্থানের প্রতীক। আমরা সকলেই জানি, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে শক্তিশালী, দক্ষ কর্মী বাহিনী থাকবে এবং সকল নাগরিকের জন্য উচ্চ জীবনযাত্রার মান থাকবে।

‘আমাদের যেন বিশ্বের কাছে যেতে না হয়, বিশ্ব যেন আমাদের কাছে আসে। আমাদের তরুণদের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে হবে যে তারাই বিশ্ব’-একথা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন।(৭/১১/২০২৪) অর্থাৎ আমরা যেচে পড়ে বিশ্বের কাছে যাব না, কিংবা অনুগ্রহ ভিক্ষা করে দেশ পরিচালনা করব না- বরং নিজেদের যোগ্যতায়, আত্মবিশ্বাসে সমৃদ্ধ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলব। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর তারুণ্যের বিজয়কে গৌরবান্বিত করার জন্য এটি অনেক বড় অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য ছিল।

‘দ্রুত সংস্কার, দ্রুত নির্বাচনের’ প্রবক্তা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমান এদেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার জন্য সুস্থধারার রাজনীতির পক্ষে অনবরত কথা বলে চলেছেন। তাঁর একটি উদ্ধৃতি-‘একটি দেশের রাজনীতি যদি রুগ্ণ হয় সেই দেশের অর্থনীতি রুগ্ণ হতে বাধ্য এবং সেই দেশের অর্থনীতি যদি রুগ্ণ হয়, রাজনীতি যদি রুগ্ণ হয় তাহলে সেই দেশের শিক্ষা, সেই দেশের স্বাস্থ্য, সেই দেশের বিচার ব্যবস্থা, সেই দেশের প্রশাসন সবকিছু রুগ্ণ হয়ে যাবে। মানুষ কোনো সুফল কোনোভাবেই পাবে না। কাজেই প্রথম কাজ হচ্ছে আমাদের দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করা, জবাবদিহিতাকে প্রতিষ্ঠিত করা। ’(১৯/১১/২০২৪)

বলাবাহুল্য, বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার সময়েও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের একটি শক্তিশালী রেকর্ড রয়েছে। অনিশ্চয়তা এবং ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাস প্রত্যক্ষ করেছে। ১৯৭১ সালে জন্মের সময় সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলির মধ্যে একটি থেকে, বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্যম আয়ের মর্যাদায় পৌঁছেছে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পৌঁছাতে যাচ্ছে। স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ড. ইউনূস সরকারের সময় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬.৪ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংকের ২০২৪ সালের অক্টোবরের প্রতিবেদন অনুসারে, আন্তর্জাতিক দারিদ্র্য সূচকের উপর ভিত্তি করে দারিদ্র্য ২০১০ সালে ১১.৮ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালে ৫.০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যরেখার উপর ভিত্তি করে (২০১৭ সালের পিপিপি ব্যবহার করে) মাঝারি দারিদ্র্য ২০১০ সালে ৪৯.৬ শতাংশ থেকে কমে ২০২২ সালে ৩০.০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া, মানব উন্নয়নের ফলাফল অনেক দিক দিয়ে উন্নত হয়েছে, যেমন শিশুমৃত্যু এবং স্থ‚লতার হার হ্রাস, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের অ্যাক্সেস। এই অগ্রগতি সত্ত্বেও, গ্রামীণ এলাকায় বৈষম্য কিছুটা কমেছে এবং শহরাঞ্চলে আরও বেড়েছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে বলা যায়, শেখ হাসিনার শাসনামলের দুর্নীতি ও অর্থপাচার আমাদের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এ বছরে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২৪ অর্থবছরে ৫.২ শতাংশে নেমে এসেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যা ২০২৩ অর্থবছরের ৫.৮ শতাংশ থেকে কমেছে। মুদ্রাস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে, আর্থিক খাতের দুর্বলতা আরও খারাপ হয়েছে এবং বহিরাগত খাতের উপর চাপ অব্যাহত রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন