“(মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ জিতলেই হবে। আর কিছু দরকার নেই”- বিপিএল ফাইনালের আগে ফরচুন বরিশালের জয় কামনা করে বলছিলেন ষাট ছুঁইছুঁই ক্রিকেট অনুরাগী হাসান আলি। ম্যাচ শুরুর আগে চিটাগং কিংসের জার্সি পরিহিত একদল সমর্থককে বলতে শোনা যায়, “শামীমের (হোসেন) জন্য আমরা চিটাগংয়ের সমর্থনে।”
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিপিএল ফাইনালের এই টুকরো টুকরো ছবিগুলোই বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সাধারণ চিত্র। নিজ শহর আর প্রিয় ক্রিকেটার, এসব ঘিরেই গগে ওঠে দর্শকদের সমর্থন। ব্যতিক্রম শুধু বিপিএল। এই লিগে একাদশ আসর হয়ে গেলেও তেমন কোনো শক্ত সমর্থকগোষ্ঠী নেই। সেটি গড়ে তুলতেই একটি পরামর্শ দিলেন টানা দুই বারের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বিপিএলে বড় সমর্থকগোষ্ঠী গড়ে না ওঠার মূল কারণ, ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ক্রিকেটারের ধারাবাহিকতা না থাকা। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা ও নামে বদল আসে তো নিয়মিতই। ক্রিকেটারদের কোনো এক দলে লম্বা সময় থিতু হওয়ার সুযোগও রাখা হয়নি। তামিমের চাওয়া, প্রতি আসরে প্রতি দলে ৪ থেকে ৬ জন ক্রিকেটার ধরে রাখার নিয়ম যেন রাখা হয় বিপিএলে।