![](https://media.priyo.com/img/500x/https://static.bonikbarta.com/original_images/14_W60Q08F.jpg)
দেশের ১৮৪ শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের মধ্যে মাত্র একটি বিআইডব্লিউটিএ অনুমোদিত
দেশে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের সংখ্যা ১৮৪। আইন অনুসারে এসব প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছ থেকে অনুমোদন নেয়ার কথা। কিন্তু এতে অনীহা রয়েছে শিপ ইয়ার্ড মালিকদের। মূলত রাজস্ব প্রদান না করে বালি উত্তোলনের সুবিধা নিতেই বিআইডব্লিউটিএর লাইসেন্স গ্রহণে অনাগ্রহী শিপ ইয়ার্ড মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ)। তাই ১৮৪টি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের মধ্যে মাত্র একটি বিআইডব্লিউটিএর অনুমোদন নিয়েছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সমুদ্র চ্যানেলে শিপ ইয়ার্ড স্থাপনের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান, বিস্ফোরক অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কৃষি অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেয়া হয়। সেখানে বিভিন্ন দপ্তরের অনুমোদনের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও বিআইডব্লিউটিএর ছাড়পত্রের বিষয়টি এতদিন উল্লেখ ছিল না। মূলত ২০২০ সালের আগে এ অঞ্চলে কোনো নদীবন্দর না থাকায় শিপইয়ার্ডগুলো বিআইডব্লিউটিএ থেকে ছাড়পত্র নেয়নি। তবে সম্প্রতি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোকে ফোরশোর বা নদীতীরবর্তী ভূমি ব্যবহার এবং ইয়ার্ড সচল রাখার প্রয়োজনে বালি বা মাটি অপসারণের জন্য লাইসেন্স গ্রহণের নোটিস দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। গত ২৩ ডিসেম্বর রাইজিং স্টিল নামের একটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড প্রতিষ্ঠান নদীতীরের ৩ হাজার ৪০০ বর্গমিটার বা ৮৪ শতাংশ ফোরশোর ব্যবহারের জন্য বিআইডব্লিউটিএ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করে। প্রতিষ্ঠানটি নদীতীরের ১৭ হাজার ৫০০ ঘনমিটার বালি অপসারণের জন্য অনুমোদন নেয়। এ বাবদ প্রতিষ্ঠানটি বিআইডব্লিউটিএকে বার্ষিক রাজস্ব (সম্ভাব্য) হিসেবে ৪ লাখ ৬ হাজার ৮৩৭ টাকা, ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ ৬১ হাজার ২৫ টাকা এবং ৫ শতাংশ আয়কর বাবদ ২০ হাজার ৩৪২ টাকাসহ সর্বমোট ৪ লাখ ৮৮ হাজার ২০৪ টাকা পরিশোধ করেছে। শুধু একটি প্রতিষ্ঠান অনুমোদন নিলেও বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শিপইয়ার্ডের কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ বিআইডব্লিউটিএর।
- ট্যাগ:
- ব্যবসা ও অর্থনীতি
- অবৈধ শিপ ইয়ার্ড