
কৃত্রিম সংকটে বাজারে মিলছে না সয়াবিন তেল, ক্ষুব্ধ ভোক্তা
বাজারে প্রতি সপ্তাহে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। ফলে ছুটির দিন শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজার ও পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে তেল না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভোক্তা। অনেকেই সয়াবিনের বিপরীতে সরিষার তেল নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ ছাড়া বিক্রির জন্য তেল না পেয়ে বিক্রেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। গত দুই মাস ধরে চাহিদার তুলনায় কম পেলেও সপ্তাহ ধরে কোম্পানিগুলোর ৮-১০টি পণ্য নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। তা না হলে তেল দেওয়া হচ্ছে না। এতে এক প্রকার সয়াবিন তেলশূন্য হয়ে পড়ছে খুচরা বাজার। এতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন ভোক্তা।
এদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে দুই-এক দোকানে তেল পাওয়া গেলেও সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে না। এমনকি বোতলজাত তেলের গায়ের মূল্য মুছে বিক্রি করা হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন- লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের মূল্য গিয়ে ঠেকেছে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা। তবে খুচরা বাজারে শীতের সবজির দামে সন্তুষ্ট ক্রেতা। তবে মাছ-মাংস উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ও পাড়া-মহল্লার মুদি দোকান ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে এসেছেন বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. শামীম হাওলাদার। প্রথম একটি দোকানে এক লিটার সয়াবিন তেল দিতে বললে দোকানি বলেন এক লিটারের তেল নাই, ৫ লিটারের বোতল নিতে হবে। পরে তিনি আরেক দোকানে গিয়ে তেল চাইতেই দোকানি বলেন- কিছুক্ষণ আগেই শেষ। বাজারে আরেক মুদি দোকানে গেলেও বিক্রেতা একই কথা বলেন। আরেক দোকানে এক লিটারের বোতলজাত তেল মিললেও বিক্রেতা মূল্য জানান ১৯০ টাকা। পরে শামীম হাওলাদার তেলের বোতল হাতে নিয়ে দেখেন বোতলের গায়ের মূল্য মুছে দেওয়া হয়েছে। তিনি বিক্রেতাকে সরকারি মূল্যে ১৭৫ টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিক্রেতা জানান- এই দামে তেল পাওয়া যাবে না। নিতে হলে ১৯০ টাকায় নিতে হবে।