You have reached your daily news limit

Please log in to continue


আমনে পাস হয়নি, বোরোতেও কি ফেল হবে

ভরা মৌসুমে চালের বাজারে আগুন নিয়ে গবেষণার শেষ নেই। বইয়ে পড়া নানা তত্ত্ব আর তথ্যের গুরুগম্ভীর আলোচনা যখন জমে উঠেছে, তখন পাশ থেকে আলী বাকের বললেন, ‘আসলে আমন ফেল—এটাই সত্যি, আমাগেরও কিনি খাওয়া লাগবি।’

আমরা বলছিলাম সিন্ডিকেটের কথা তো চাঁদাবাজির কথা, মজুতদার আর মুনাফাখোরদের দৌরাত্ম্যের কথা; আর সরকারের ব্যর্থতার কথা আছেই। সরকারের ব্যর্থতার বয়ান ছাড়া এখন কোনো আলোচনা জমে না।

মালয়েশিয়াফেরত আলী বাকের এখন মন–দিল দিয়ে চাষবাস করেন। বিদেশ যাওয়ার আগে তাঁর নাম ছিল বকর আলী। সেখান থেকে ঘোল খেয়ে ফেরত আসার পর এখন আলী বাকের। সে অন্য কাহিনি। মালয়েশিয়ার চক্করে জমিজিরাত হারিয়ে আলী বাকের এখন ‘কন্টাক্ট চাষি’।

ভাগ চাষি বা বর্গা চাষি বলে এখন আর কিছু নেই। ‘ফেলো কড়ি মাখো তেল’ নীতিতে বছরের জন্য জমি ভাড়া নিয়ে ফসল ফলাতে হয়। আলী বাকের ১৫ বছর আগে যে জমি ৫ হাজার টাকায় নিতে পারতেন, এখন সে জমি রাখতে তাঁর লাগে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা।

কেউ বেশি দিলে তিনি আর পাবেন না পরের বছর। কাজেই ‘কন্টাক্ট চাষি’রা জানপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা করেন টাকা উশুল ফসল ফলানোর জন্য।

‘আপনার এলাকায় বন্যাবাদল ছিল না; তারপরও কেন ফেল মারল আমন?’—এ প্রশ্নে আলী বাকের একটু চটে যান, কিন্তু জবাব দেন মেজাজ ঠিক রেখে। কৌতুকের আশ্রয় নিয়ে বলেন, ‘তোমার কথায় উপদেষ্টা উপদেষ্টা গন্ধ পাচ্ছি গো।’

মনে পড়ল, গদিনশিন সংশ্লিষ্ট সচিব গত ডিসেম্বরে গদগদ হয়ে বলেছিলেন, ‘বন্যার প্রভাব বাদ দিয়ে বাকি এলাকায় আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ীই ফলন হয়েছে।’ আলী বাকেরের মনে আছে সে কথা।

আলী বাকের ঘূর্ণিঝড় দানোর কথা মনে করিয়ে দিলেন। সেই ঝড়ের পূর্বাভাস আর যথাযথ সতর্কীকরণের অভাবে উপকূলের চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল আমন উৎপাদনকারী মধ্য আর উত্তরাঞ্চলের এলাকাগুলোয়। আলী বাকের বললেন, ‘লাশ না ভাসলে তোমরা দুর্যোগ মাপতি পারো না। তোমাদের দুর্যোগের দাঁড়িপাল্লায় লাশ ছাড়া আর কিছু মাপা যায় না, তাই আমনের ক্ষতি দেখতি পাও না।’

দানোর সময় লালমনিরহাটে ছিলাম। চার থেকে পাঁচ দিনের টানা বৃষ্টিতে প্রায় ঘরবন্দী অবস্থার একঘেয়েমি কাটানোর জন্য বাইরে গেলে দেখা হয় চাষি শ্যামল রায়ের সঙ্গে। সদরের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের শ্যামল জানিয়েছিলেন, আকাশ পরিষ্কার থাকায় জমিতে পাকা ধান কাটার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। হঠাৎ বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে জমির পাকা ধানগুলো হেলে পড়েছে মাটিতে, এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন