আগে শত্রু মনে হতো একটা, এখন মনে হচ্ছে চতুর্মুখী: নাহিদ ইসলাম
শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন, নির্বাচন, সংস্কার, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার, আহতদের পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর রিপোর্টিং বিভাগের উপপ্রধান ইমাম হোসেন সাঈদ ও নিজস্ব প্রতিবেদক আসিফ হাওলাদার।
প্রথম আলো: জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক দল করতে যাচ্ছে। দুজন উপদেষ্টার ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে ধারণা করা যায়, উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে আপনারা দলে যোগ দিতে যাচ্ছেন...
নাহিদ ইসলাম: উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমরা এখনো নিইনি। হয়তো আরেকটু সময় লাগবে। আমরা একটু বোঝার চেষ্টা করছি কোথায় আমাদের ভূমিকাটা সবচেয়ে বেশি হবে— সরকারের ভেতরে নাকি বাইরে, মাঠে। শিক্ষার্থীরা অভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছেন, এই সময়ে বা সামনের দিনগুলোর জন্য তাঁদের সংহত ও ঐক্যবদ্ধ করা প্রয়োজন।
৫ আগস্টের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের ব্যানারে সক্রিয় হয়েছে। তাদের কর্মীরা নিজ নিজ ব্যানারে চলে গেছেন। কিন্তু যাঁদের কোনো দল নেই, তাঁদের মধ্যেও একধরনের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা আছে। নেতৃত্ব বা রাষ্ট্র গঠনে তাঁরাও ভূমিকা রাখতে চান। এই শক্তিটাকে সংহত করার জন্য একটা রাজনৈতিক দলের প্রয়োজনীয়তা তৈরি হয়েছে। গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর থেকেই এ ধরনের একটা আলাপ ছিল। সেই সময় আমরা ভেবেছি রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে সরকারকে সংহত করা প্রয়োজন।
আমরা গণ-অভ্যুত্থানের প্রতিনিধি হিসেবে সরকারে এসেছি। আমাদের কিছু অঙ্গীকার আছে। সেটা বাস্তবায়ন করে সরকার ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। সেই বিষয়টা এখন পুনর্বিবেচনা করতে হচ্ছে।