প্রাণী থেকে মানুষের রোগ : মহামারির উৎস ও বিস্তার

ঢাকা পোষ্ট কবিরুল বাশার প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:১৮

বিভিন্ন সংক্রামক রোগের উৎপত্তি প্রাণী থেকে হলেও, সময়ের সঙ্গে সেগুলো মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে মহামারিতে রূপ নিতে পারে। ইতিহাসে দেখা যায়, কিছু কিছু রোগ প্রাণী থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়ে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য হুমকি সৃষ্টি করেছে। এইচআইভি/এইডস, ইবোলা, সার্স, মার্স ও ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো রোগগুলোর প্রভাব বিশ্বজুড়ে লক্ষ করা গেছে।


এসব রোগের বিস্তার, সংক্রমণ প্রক্রিয়া এবং ভয়াবহ পরিণতি মানুষের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। কিছু কিছু প্রাণীবাহিত রোগ রয়েছে যেগুলো প্রথমে প্রাণী দেহে থাকে এবং পরে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। এসব রোগের মধ্যে কিছু রোগে মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণও ঘটে, যা মহামারি আকার ধারণ করার ইতিহাস রয়েছে। এর মধ্যে কিছু রোগ বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিশাল ক্ষতি করেছে।


এখানে এমন কিছু রোগের বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো যা প্রথমে প্রাণীর দেহে ছিল এবং পরবর্তীতে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়ে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।


হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (Human Immunodeficiency Virus—HIV)/এইডস (Acquired immunodeficiency syndrome—AIDS): এইচআইভি প্রথমে আফ্রিকার বানরের দেহে ছিল। এটি একটি ভাইরাস, যা বানর থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়, মূলত বানরের মাংস খাওয়ার মাধ্যমে।



১৯৬০ এর দশকে এটি মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে। এটি SIV (Simian Immunodeficiency Virus) নামক ভাইরাস থেকে উৎপন্ন হয়েছিল। মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসটি HIV হিসেবে পরিচিত এবং এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দেয়, যার ফলে এইডস নামক রোগের সৃষ্টি হয়। 


এইচআইভি মানুষের মধ্যে প্রধানত রক্ত, শুক্রাণু, মূত্র এবং অন্যান্য শারীরিক তরল দ্বারা সংক্রমিত হয়। একে অপরের অব্যবস্থাপিত যৌন সম্পর্ক, ইনজেকশন শেয়ার করা বা আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়। এইচআইভি প্রাথমিকভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়, ফলে রোগীর শরীরে নানা ধরনের সংক্রমণ, ক্যান্সার এবং অন্যান্য রোগ ছড়িয়ে পড়ে।


এইডস রোগী বিভিন্ন মারাত্মক সংক্রমণের শিকার হয় এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩৬ মিলিয়ন মানুষ এইচআইভি/এইডসের কারণে মারা গেছে এবং প্রতি বছর ১.৭ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয়। এটি মূলত আফ্রিকা, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার কিছু অঞ্চলে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।


ইবোলা (Ebola): ইবোলা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ প্রাণী থেকে মানুষে ঘটে। বিশেষত বাদুড়, বানর এবং অন্যান্য জীবন্ত প্রাণী ইবোলা ভাইরাসের বাহক হিসেবে কাজ করে। এরপর এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। ১৯৭৬ সালে প্রথম আফ্রিকার সুদানে এবং কঙ্গোতে ইবোলা ভাইরাসের মহামারি দেখা দেয়। এটি মূলত আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তরল (যেমন, রক্ত, লালা, মূত্র এবং সুতরাং) থেকে মানুষে ছড়ায়।


ইবোলা মানুষের মধ্যে শারীরিক সংস্পর্শের মাধ্যমে দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে। একে অপরকে সংক্রমিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণগুলোর মধ্যে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, পেশির ব্যথা, দুর্বলতা, জ্বর ভাব, রক্তক্ষরণ, পেটব্যথা, এবং অন্যান্য সমস্যা অন্তর্ভুক্ত।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও