সবজির ন্যায্যমূল্য ও টেকসই পুষ্টিনিরাপত্তা
হরেক রকম সবজি খেলে/সুস্থ-সবল দেহ মেলে। স্বল্প সময়ে অল্প জমি থেকে অধিক আয়, সারা বছর চাষোপযোগী উচ্চফলনশীল সবজির গুণমানের বীজ উৎপাদন, বিপণন এবং সবজি চাষের আধুনিক প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তার এবং ফলন বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে ঘটে গেছে সবজি উৎপাদনে এক নীরব বিপ্লব। এ বিপ্লবের নায়ক হলেন আমাদের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ও কর্মঠ কৃষক। সবজি উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয়। চীন এক্ষেত্রে প্রথম ও ভারত দ্বিতীয়। মাত্র ১২ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশে সবজির উৎপাদন বেড়েছে সাত গুণ। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় সোয়া দুই কোটি টনের মতো সবজি উৎপাদন হয়। সবজি রফতানি করেও বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসাবে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত শুধু সবজি রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করে ১ কোটি মার্কিন ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১১ লাখ ১০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমি থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার ৮০০ টন সবজি উৎপাদন হয়। এর মধ্যে শীতকালে ১ কোটি ৪২ লাখ ৩৫৬ টন আর গ্রীষ্মকালে ৮৩ লাখ ৫২০ টন। বর্তমানে দেশে ৬০ ধরনের ও ২০০ জাতের সবজির চাষ হচ্ছে। এসব সবজির প্রায় ৯০ শতাংশ বীজ দেশেই উৎপাদন হয় এবং উৎপাদিত বীজের একটা অংশ বিদেশেও রফতানি হয়।
- ট্যাগ:
- মতামত
- সবজির দাম
- সবজির বাজার