লোভীদের চোখ এবার লালাখালে
ইজারা না থাকার পরও সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার স্বচ্ছ নীল জলের ধারা লালাখাল থেকে বালু লুটে নিচ্ছে একটি গোষ্ঠী; প্রকৃতি-পরিবেশ বিধ্বংসী এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে লুটেরাদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের।
সীমান্তের যাদুকাটা, পিয়াইন বা ডাউকি নদী থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের পর এবার লুটপাটকারীদের চোখ পড়েছে সারি নদীর পর্যটনকেন্দ্র লালাখালে। খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশের নীলাভ জলের সৌন্দর্য দেখতে এখানে প্রতিবছর লাখো পর্যটক জড়ো হন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘প্রশাসনের নাকের ডগাতেই’ অবৈধভাবে লুটপাট চলছে লালাখালে। শ্রমিক নেতা, বালু ব্যবসায়ী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণির অসৎ কর্মকর্তাও এর সঙ্গে জড়িত।
এভাবে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে কেবল লালাখালের প্রবাহমান ধারাই ধ্বংস হবে না, এলাকার প্রাণ-প্রকৃতি এবং পরিবেশ-প্রতিবেশ মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে সতর্ক করেছেন পরিবেশবাদীরা। তারা লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ চেয়েছেন।
জৈন্তাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলছেন, অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে তারা অভিযান চালান। কিন্তু অভিযানে যাওয়ার আগে ‘বালুখেকো চক্রটি’ খবর পেয়ে যায়।