শিশুদের ওপর অপরাধ ও সহিংসতার প্রভাব

ঢাকা পোষ্ট খন্দকার ফারজানা রহমান প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:০৭

সামাজিক প্রেক্ষাপটে বর্তমানে অস্বীকার করার উপায় নেই যে, মানুষ খুব অল্প বয়স থেকে অপরাধ সংঘটিত হতে দেখে। কখনো আবার শিশু বয়সেই অপরাধের শিকার হয় কিংবা অপরাধে লিপ্ত হয়। একজন শিশু পরিবারের ভেতরে থাকার দরুণ অনেক সময় অপরাধের সাক্ষী হয়ে ওঠে।


জানা গেছে, অল্প বয়সে সহিংসতার সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে, শিশুর মধ্যে অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি। যেমন—


১। আচরণগত, মানসিক এবং শারীরিক সমস্যার মুখোমুখি হওয়া


২। শিক্ষাজীবনে জটিলতা বৃদ্ধি


৩। অ্যালকোহল বা মাদক অপব্যবহারে ভোগা


৪। অপরাধী হয়ে যাওয়া


৫। শিশু বয়সে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো অপরাধ করে ফেলা


অপরাধ, সহিংসতা, অবহেলা এবং ট্রমা শিশুর বিকাশের ওপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে যেটা যেকোনো মাধ্যমে সেই অপরাধের মুখোমুখি হোক না কেন। ইউনিসেফ-এর গবেষণায় দেখা গেছে যে, সহিংসতা এবং অবহেলা শরীরবৃত্তীয়ভাবে একটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশকে প্রভাবিত করতে পারে। যে শিশু সহিংসতার শিকার হয় তার জন্য বিষয়টি আরও বেদনাদায়ক।


অপরাধ কিংবা সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর জন্য স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ বৃদ্ধি, পড়ালেখায় অনীহা, কম শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের তাগিদ এবং পরবর্তী পারিবারিক জীবন ও অন্যান্য সদস্যদের প্রতি বিরূপ আচরণ করার উদাহরণ পাওয়া গেছে। ভয়ংকর হলেও সত্য যে, নির্যাতন বা অবহেলার অভিজ্ঞতা শিশুর জ্ঞান অর্জনের ক্ষমতা এবং সামাজিকভাবে দক্ষ হওয়া হ্রাস করতে পারে।



পরিবারই প্রাথমিকভাবে শিশুর মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতার প্রধান নির্ধারক। আমরা সবাই জানি যে, কেউই নিখুঁত নয়, তাই কোনো পরিবারই নিখুঁত নয়। একটি পরিবার কোনোভাবে যদি অসামাজিক বা অপরাধমূলক আচরণ করে তার ফলাফল শিশুর আচরণকেও প্রভাবিত করতে পারে।


অন্যদিকে যখন শিশুর সাথে তাদের পিতামাতার ইতিবাচক, যত্নশীল সম্পর্ক চলমান থাকে এবং সেই পরিবারের পরিবেশে ধারাবাহিক শৃঙ্খলা থাকে, তখন তাদের ভবিষ্যতে অপরাধমূলক আচরণ বা মানসিক সমস্যা এড়ানোর (social control) সুযোগ তৈরি হয়।


পিতামাতার সাথে সন্তানদের যোগাযোগ ক্ষীণ হলে বা পারিবারিকবন্ধন দুর্বল হলে শিশুদের মধ্যে আক্রমণাত্মক অথবা অপরাধমূলক আচরণ করার প্রবণতা বাড়ে, প্রচলিত গবেষণায় এটা পাওয়া যায়। যখন কোনো শিশু অশান্ত পারিবারিক পরিস্থিতিতে থাকে, তখন মানসিক স্থিতিশীলতার জন্য তারা সমবয়সীদের ওপর নির্ভর করে।


পরিবারের মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণের কারণে যদি শিশু আক্রমণাত্মক হয় ওঠে তবে এর ফলস্বরূপ অন্যান্য শিশুদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ক্রোধ সৃষ্টি করে। এভাবে শিশুরা আক্রমণাত্মক বা অসামাজিক হয়ে ওঠে। একটি শিশু যা পর্যবেক্ষণ করে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করে তা সে সামাজিক কার্যকলাপে ব্যবহার করে।


স্কুলে বা অন্যথায় সহকর্মীদের সাথে কথোপকথনের সময় শিশুরা তাদের অভিভাবক বা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অনুকরণ করার ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা দেখতে পায় না। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ কৌশলগুলো অসামাজিক আচরণ এবং আগ্রাসন তৈরিতে খুব প্রভাবশালী। মনোবিজ্ঞানী অ্যালবার্ট বান্দুরা (Albert Bandura) আচরণ শেখার এই প্রক্রিয়াটিকে সামাজিক শিক্ষা তত্ত্ব হিসেবে নামকরণ করেছেন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও