‘মানুষের উৎপাতে’ পাখি নেই টাঙ্গুয়ার হাওরে
বিশ্ব ঐতিহ্য টাঙ্গুয়ার হাওরে ঝোপঝাড়, জংলা, খাল-বিল শীতকালে মুখরিত থাকত অতিথি পাখির কিচিরমিচিরে। শীতকালে পাখির অভয়াশ্রম খ্যাত বেরবেরিয়া ও লেচুয়ামারা জলাশয় ও কান্দায় বসত পাখির মেলা। হাওরের জলে পাখির মিছিল তন্ময় হয়ে দেখতেন পর্যটকরা।
কিন্তু হাওরের চিরচেনা সেই দৃশ্য এখন আর চোখে পড়ে না। এখানে ক্রমেই কমছে অতিথি পাখির মিছিল। তাই পাখিপ্রেমী পর্যটকরাও ফিরছেন হতাশ হয়ে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, ফাঁদ পেতে পাখি শিকার, পর্যটকদের উৎপাত, অবাধে সংরক্ষিত এলাকায় শ্যালো মেশিন চালানো, বনায়ন কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে টাঙ্গুয়ার হাওরে অতিথি পাখিও কমে গেছে। ১৫ জানুয়ারির পর হাওরে অতিথি পাখির সমাবেশ ঘটবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানালেও কাঙ্খিত পাখি আসেনি।
বরাবরের মতো পাখি গণনা করতে বাংলাদেশ বার্ডস ক্লাব ও দাতা সংস্থা আন্তর্জাতিক সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার-আইইউসিএনের একটি দল আসার কথা রয়েছে। তারা ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সপ্তাহব্যাপী টাঙ্গুয়ার হাওরে পাখি গণনা করবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ের গ্রাম মুসিলমপুরের কৃষক আব্দুর রহমান বলছিলেন, “কয়েক বছর আগেও প্রচুর পাখি আসত। পাখির শব্দে এই সময় রাতে ঘুমাতে পারতাম না। কিন্তু এখন আগের চেয়ে অর্ধেক পাখিও দেখি না। পাখির আনাগোনা কমে গেছে।”