অনুগত ও তোষামোদকারীদের রাজউকের ৮৩০ প্লট উপহার দেন হাসিনা

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৬

রাতের ভোট নামে পরিচিতি পাওয়া ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সচিব ছিলেন হেলালুদ্দীন আহমদ। আওয়ামী লীগ সরকারের ‘অনুগত’ এই আমলাকে ভোটের পাঁচ মাস আগে পূর্বাচলে রাজউকের সাড়ে সাত কাঠার একটি প্লট দেওয়া হয়। তিনি প্লটটি পান সরকারি চাকরিতে ‘অসামান্য অবদানের’ জন্য।


‘রাতের ভোটে’ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর হেলালুদ্দীনকে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব করা হয়। ২০২২ সালে সেখান থেকে অবসরে যাওয়ার পর তাঁকে নিয়োগ দেওয়া হয় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য পদে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হেলালুদ্দীন আত্মগোপনে চলে যান। পরে ২৩ অক্টোবর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে।


২০১৪ সালে নবম জাতীয় সংসদের একতরফা নির্বাচনের পর সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন পিনু খান। তাঁর ছেলে বখতিয়ার আলম ওরফে রনিকে ২০১৩ সালে জাতীয়ভাবে ‘অসামান্য অবদানের’ জন্য রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে একটি প্লট দেওয়া হয়। ২০১৫ সালে বখতিয়ার আলম রাজধানীর ইস্কাটনে যানজটে আটকা পড়ায় এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে দুই রিকশাচালককে হত্যা করেন। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় ২০১৯ সালে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। তিনি এখন কারাগারে।


ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে ১৫ বছরে এভাবে সরকারি চাকরি, জনসেবা ও সমজাতীয় খাতে জাতীয়ভাবে ‘অসামান্য অবদানের’ নামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অথবা আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠদের দেওয়া হয় রাজউকের প্লট। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পূর্বাচল নতুন শহর, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প ও ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পের প্লটগুলো তাঁরা পেয়েছেন কাঠাপ্রতি মাত্র ২ থেকে ৩ লাখ টাকায়। যদিও এসব প্লটের বাজারমূল্য তখনো বহুগুণ বেশি ছিল। এখন এসব প্লটের কাঠাপ্রতি বাজারমূল্য কোটি টাকার বেশি। রাজউকের প্লটের আয়তন ৩, ৫, ৭, সাড়ে ৭ ও ১০ কাঠা। সংরক্ষিত কোটায় প্লট পাওয়া কেউ কেউ তা বিক্রিও করে দিয়েছেন।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও